বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সবুজে সেজেছে বাসা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সবুজে সেজেছে বাসা

কুমিল্লা নগরীতে বাসাবাড়ি সাজানোয় বেড়েছে গাছের চাহিদা। নগরীর অনেক বাসার সিঁড়িতে হাসছে লাকিব্যাম্বু, ডাইনিং টেবিলে মানিপ্লান্ট। ঘরে গাছ থাকলে সবুজে মন ভালো হয় তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। এতে অক্সিজেনের চাহিদাও মিটে বলে জানান সচেতনরা। কুমিল্লা নগরীর বাসার ভিতরে ও বারান্দায় শোভা পাচ্ছে ফিলোডেনড্রন, পথোস যা মানিপ্লান্ট নামে সুপরিচিত, ড্রেসিনা, লাকিব্যাম্বু, এরয়েড, ফিডল লিফ ফিগ, পাম প্রজাতির কিছু গাছ, সিংগোনিয়াম, এনথুরিয়াম, ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট। পানিতে বাঁচতে পারে পথোস, লাকিব্যাম্বু ও ড্রেসিনা ইত্যাদি। মাটিতে লাগানো যায় আইভি লতা ও ফিলোডেনড্রন ইত্যাদি। নগরীর কয়েকটি বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়িতে হাসছে লাকিব্যাম্বু, ডাইনিং টেবিলে মানিপ্লান্ট, ওয়ারড্রবের ওপরে এনথুরিয়াম। বারান্দায় ঝুলছে ক্যাকটাস ও সাকুলেন্ট। পঞ্চম কিংবা সপ্তম তলার বারান্দায় গাছের দুলনি নিচ থেকে দেখেও চোখ জুড়িয়ে যায়। যেন গাছগুলো পথচারীদের হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

কুমিল্লার অনলাইনভিত্তিক ছাদকৃষি, বাগান ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক প্ল্যাটফরম কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, ঘরের গাছ মানেই এদের সূর্যের আলো দরকার নেই এমন নয়। সব গাছের আহার প্রস্তুত করতে সূর্যালোক প্রয়োজন। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন হালকা সকালের আলোয় রাখতে হবে। দুপুরের আলোতে অনেক গাছের পাতা পুড়ে যেতে পারে। পানিও দিতে হয় মেপে। মাটি শুকিয়ে গেলে পরে পানি দিতে হয়। নগরীর বৃক্ষপ্রেমী মোজাম্মেল আলম এবং কৃষি ও পরিবেশে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, করোনার পর নগরীর অনেক বাসা সবুজে সেজেছে। সবুজে মন যেমন ভালো হয় তেমনি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। এতে অক্সিজেনের চাহিদাও মেটে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর