শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রেমিক যুগলকে গাছে বেঁধে নির্যাতন শেষে পুলিশে সোপর্দ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রেমিক যুগলকে গাছে বেঁধে নির্যাতন শেষে পুলিশে সোপর্দ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাতের আঁধারে প্রেমিক যুগলকে আটক করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তরুণীর ভাই ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গতকাল সকালে প্রেমিক তপনকে (২২) ধর্ষণ মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রাহেলার বাড়ির সুপারি গাছে প্রেমিক যুগলকে বেঁধে রাখা হয়। নির্যাতনের শিকার তপন ওই ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন ও তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তপনের বাড়ি আসে তরুণী। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে মেয়ের বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সে মামলায় তপনকে আটক করে পুলিশ। আর তরুণীকে পরীক্ষা করাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তপন বলেন, ‘তরুণীর পরিবারের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে। এজন্য পরিকল্পিতভাবে আমাকে ঘর থেকে বের করে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তরুণীর বাবার মোবাইল ফোনে কল করলে ‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে’ বলে কেটে দেন। সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, তরুণীর ভাই তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘তরুণীর বাবা অভিযোগ দেওয়ায় তপনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে তরুণ-তরুণীকে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

সর্বশেষ খবর