শিরোনাম
রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন বন প্রহরীকে অপহরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে বন বিভাগের পাহারা দলের নিখোঁজ তিন সদস্যকে অপহরণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে অপহরণকারীরা অপহৃত মো. শাকেরের মায়ের মুঠোফোনে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা ও অপহৃত মোহাম্মদ রহিমের বাড়িতে তার রেখে যাওয়া মুঠোফোনে কল দিয়ে একই অঙ্ক মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে। অপর অপহৃত আবদুর রহমানের আত্মীয়-স্বজনের কাছে এখনো মুক্তিপণ দাবি করেনি। শুক্রবার ন্যাচার পার্কের বন পাহারা দিতে গিয়ে এই তিনজন নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাদের খুঁজতে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা বিকালে পাহাড়ে অভিযান চালান। নিখোঁজ তিনজন হলেন- টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার বাসিন্দা ও সিপিজি বন পাহারা দলের সদস্য আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের (২৪), মৃত আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুর রহিম (৩৭) ও মৃত বকসু মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান (৩২)। তারা তিনজনই বন পাহারা দলের সদস্য। কোথাও খোঁজখবর না পেয়ে রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় আবদুল মালেক বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী বিটের নেচার পার্ক বনে পাহারা দেওয়ার কথা ছিল। পাহারা দিতে গিয়ে তিনজনের খোঁজ মেলেনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেচার পার্ক মোচনী বন পাহারা দলের সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান। নিখোঁজ তিনজনের পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে বন পাহারা দেওয়ার জন্য মোহাম্মদ শাকের, আবদুর রহিম ও আবদুর রহমান তারা তিনজন বনের ভেতর ঢোকে। কিন্তু তারা বেলা ১১টার দিকে ফেরত আসার কথা থাকলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের খোঁজখবর পাওয়া যায়নি এবং তাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এতে পরিবারের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অবশেষে গতকাল সকালে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। নইলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেন। এ সময় তাদের ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে মুঠোফোনে চিৎকার শুনান। বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার হ্নীলার মোচনী বিটের আওতাধীন বন পাহারা দলের পিসিজি ৩৭ জন সদস্য রয়েছেন। পাহারা দলের সদস্যরা দৈনিক সকাল ও বিকাল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বনে পাহারা দিয়ে আসছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের খোঁজখবর না পেয়ে বন বিভাগের অপরাপর সদস্য ও বন কর্মীদের নিয়ে বিকালে পাহাড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মোহাম্মদ জুবাইর সৈয়দ জানান, এ ব্যাপারে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছে। পুলিশ কাজ কাজ করছে। এদিকে স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে শতাধিক স্থানীয় লোকজন ও বন পাহারা দলের অর্ধশতাধিক সদস্য পাহাড়ে অভিযান চালায়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর