সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

প্রেমের টানে ফিলিপাইনি নারী জয়পুরহাটে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রেমের টানে ফিলিপাইনি নারী জয়পুরহাটে

‘প্রেম মানে না কোনো বাধা’ তাইতো প্রেমের টানে নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশের জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাস্কো নামে এক নারী। শুধু তাই-ই নয়, নিজের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করে গতকাল দুপুরে  তিনি প্রেমিক আবদুুল্লাহ হেল আমানের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বিয়ের সময় ওই যুবতীর নতুন নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম আমান। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদেশি এ তরুণীকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিপাইনি যুবতীর প্রেমিক আবদুুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। তিনি দুই বছর ধরে ফিলিপাইনি নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের উদ্দেশে বিমানযোগে শনিবার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান ফিলিপাইনি যুবতী। সেখান থেকে প্রেমিক আবদুুল্লাহ হেল আমান গাড়িতে করে তাকে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন।

আবদুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুজনের মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। সে খ্রিস্টান ছিল, বর্তমানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আমাকে বিয়ের উদ্দেশে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।

আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছি। বাংলাদেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। যাকে বিয়ে করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আমানের স্বজনরা জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ফিলিপাইনের এই তরুণী আসার পর সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। এখানকার খাবার-দাবার তার খুব পছন্দ। তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে আসছেন মানুষ। ইংরেজিতে কথা বলে আনা মারিয়া ভেলাস্কো। মাঝে মধ্যে কিছু কথা বাংলাতেও বলতে পারে। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইনি নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি জানিয়েছেন, নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছেন।

সর্বশেষ খবর