শিরোনাম
বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দাফনের দেড় মাস পর জানা গেল বিষপ্রয়োগে হত্যা

মাহবুব মমতাজী

দাফনের প্রায় দেড় মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হলো বিষপ্রয়োগেই হয়েছে মৃত্যু। ফলে মৃত্যু বদলে গেল হত্যায়। রিপোর্টে বলা হলো, খাবারের সঙ্গে কীটনাশক প্রয়োগের কারণেই মৃত্যু হয়েছে খুলনা আদালতের আইনজীবী ও এপিপি আলমগীর বিশ্বাসের (৪৭)। তবে মৃত্যুর পর লাশে নানা উপসর্গ দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়েছিল। এজন্য আলমগীরের বড় বোন জান্নাতুল ফেরদৌসী আলমগীরের মৃত্যুর পর খুলনা মহানগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরই মামলার আসামি আফজালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ২৮ মে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পিপি আলমগীর বিশ্বাসের। সেখানেই লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে রিপোর্ট পাওয়া যায় প্রায় দেড় মাস পর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে আসে আলমগীরকে বিষ খাইয়ে হত্যার বিষয়টি। এ ঘটনায় ১৬ জুলাই খুলনা মহানগর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামি করা হয় আলমগীরের বন্ধু আফজাল সরদার ওরফে পিয়ালসহ অজ্ঞাত আরও দু-তিন জনকে। মামলার এজাহারে আলমগীরের বড় বোন বলেছেন, আফজাল সরদার খুলনার খানজাহান আলী রোডের পিটিআই মোড়ের একটি বাসার ভাড়াটিয়া। তার সঙ্গে আলমগীর কোচিং ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে আফজালের কাছে ২৬ লাখ টাকা পেতেন আলমগীর। এই পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন আফজাল। ২৮ মে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে আলমগীরকে ডেকে পাঠান আফজাল। সকাল ৬টায় তার বাসায় গেলে আলমগীরকে ৩০ হাজার টাকা দেন আফজাল। এ সময় ফ্রুট কাস্ট ও কেক খেতে দেওয়া হয়। ওই খাবার খাওয়ার পরই আলমগীর ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানেই তিনি বমি করেন। প্রথমে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিষয়টি খুলনা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে তারা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরীক্ষার জন্য রাজশাহী বিভাগীয় ফরেনসিক ল্যাবে পাঠায়। সেখানে রাসায়নিক পরীক্ষার পর ৪ জুলাই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, কীটনাশকের কারণে আলমগীরের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আশা করি দ্রুতই মামলাটির চার্জশিট হয়ে যাবে। মামলার পরই আফজালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ হত্যার পেছনে আরও কেউ আছে কি না খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’

 

সর্বশেষ খবর