শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্যে দিশাহারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত

রাশেদ হোসাইন

দ্রব্যমূল্যে দিশাহারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত

নিয়মিত আয়ে সংসার চলছে না। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বেসরকারি এক স্কুলশিক্ষক বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে, না পারছি কারও কাছে হাত পাততে, না পারছি বাজার করতে। আলুও এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। ৩০ টাকা কেজির আলু এখন ৫০ টাকা। কোনো ধরনের নিত্যপণ্য এখন ৫০ টাকার নিচে মিলছে না।

রাজধানী ঢাকার শহরতলি রায়েরবাগ বাজারে সাধারণত কম দামে তাজা শাকসবজি ও কৃষিপণ্য পাওয়া যেত। এখন সেখানেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। হানিফ মাহমুদ নামের এক ক্রেতা বলেন, গতকাল শিম কিনলাম ২৪০ টাকা কেজি, আজ সেটা ২৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার করল্লা আজ কিনলাম ৭০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। বাজারে ২০০ টাকা কেজির নিচে কোনো মাছ নেই। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা। এ ছাড়া মসুর ডাল বড় দানারটা দুই দিনের ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। আমদানিকৃত হলুদ এক সপ্তাহ আগে ২০০ টাকা ছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৮০ টাকা। দেশি আদা ৪২০ থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে হয়েছে ৪৫০ টাকা। রসুন ২৪০ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী- এখন বাজারে মোটা (স্বর্ণা) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২ টাকা বেড়েছে। খোলা আটা ৫০ টাকা আর প্যাকেট আটা ৬০ টাকা করে। চিনি ১৩৫ টাকা কেজি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে এ বছর আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয় প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টন। চাহিদার বিপরীতে গত বছরে প্রায় ২২ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে। তারপরও আলুর দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ- ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। কিছুদিন পরপর তারা একটা করে পণ্যের দাম বাড়ান, এরপর আর কমান না। সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল বলে ভোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

অনিয়ম বন্ধে কার্ডে ওএমএস পণ্য

কারসাজি ঠেকাতে কঠোর প্রস্তুতি

সর্বশেষ খবর