শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত এই উৎসব নিয়মিত আয়োজনের এটি ১৬তম আসর।

গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ আসরের উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে।

আয়োজক সংস্থার সভাপতি লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আসরে বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। উদ্বোধনী-পর্ব শেষে প্রদর্শিত হয় মোহাম্মদ নুরুজ্জামান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ (বাংলাদেশ)।

ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট তিনটি প্রদর্শনী হবে। বাংলাদেশসহ ৩৯টি দেশের ১০১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবারের উৎসবে। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে এবার ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, তিনটি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে। বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে পাঁচটি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে ৩৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল যার মধ্যে প্রদর্শিত হবে ১৫টি চলচ্চিত্র, পুরস্কার পাবে ২টি চলচ্চিত্র। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২৭০০ এর বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, প্রদর্শিত হবে ৭৫টি চলচ্চিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের শিশুরা অনেক মেধাবী। তাদের সেই মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনেক বড় ভূমিকা রাখে, কারণ এখানে শিশুরা নিজেরাই ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানায়, আজকে উপস্থাপকরাও শিশু। ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিক এ উৎসব আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, এখন প্রায় সব বয়সের মানুষই স্মার্টফোনে নিবদ্ধ হয়ে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে, অনেক খারাপ দিকও আছে। যে কোনো কিছুতে আসক্তিই খারাপ। সেই আসক্তি থেকে শিশুদের বের করে আনতে হবে। এর আগে একাডেমি চত্বরে জাতীয়সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। কাল শনিবার শেষ হবে তিন দিনের এই উৎসব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর