শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কারসাজি ঠেকাতে কঠোর প্রস্তুতি

শাহেদ আলী ইরশাদ

বাজার কারসাজি ঠেকাতে প্রতিযোগিতা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি আর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে চায় কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পণ্যের অস্বাভাবিক দর ঠেকাতে চলতি বছর কিছু মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশনের। এসব মামলা রুজু হলে বাজার ব্যবস্থায় কারসাজি কমে আসবে বলে আশা প্রতিযোগিতা কমিশনের। তবে হুট করেই স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে না কমিশন। মামলা করার আগে কমিশন থেকে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতেই করা হয়। প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া পণ্যের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি, সরবরাহ ঘাটতি কিংবা কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা প্রতিদিনের জন্য ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। জানা গেছে, কোনো না কোনো নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দর দেখা যায় বছরজুড়ে। কখনো পিয়াজ, কখনো মরিচ আবার কখনো মুরগির। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ ভোক্তারা। যা নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ৪৪ থেকে ৪৫টি দল অভিযান পরিচালনা করে নিয়মিত। পণ্যের দরে অসংগতি পেলে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা করা হয় ব্যবসায়ী অথবা প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু প্রসিকিউটর না থাকায় মামলা করতে পারে না। তবে সরবরাহ ঘাটতি, কৃত্রিম বা বাড়তি মুনাফা করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান আছে প্রতিযোগিতা আইনে। আর এ বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের। বাজারে পণ্যের সুষ্ঠুভাবে প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য ২০১৬ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্প্রতিককালে আমরা বাজারের যে অবস্থা দেখছি, তাতে প্রতিযোগিতা কমিশন সরেজমিন তদন্ত করেছে। তদন্তে আমরা অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। তবে মামলা করার আগে কমিশনের সভায় সেটা পাস করতে হয়। পাস হয়েছে। যে কোনো সময় মামলা হবে। তিনি আরও বলেন, আইনের আওতায় মামলা করে নিষ্পত্তি করা হলে প্রতিযোগিতা কমিশনের আইন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।

 

 

সর্বশেষ খবর