শিরোনাম
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারত থেকে ৩০ কোটি ডিম আমদানি করতে চিঠি

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

ডিমের দাম যখন কমছেই না তখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বলছে, আমদানির অনুমতি পেলে তারা দেশের ভোক্তাদের প্রতিটি ১০ টাকা দামে ডিম খাওয়াতে পারবে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ডিম আমদানির অনুমতি চেয়ে চিঠিটি পাঠান মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. ইয়ার হোসেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইয়ার হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী ভারতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দামে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে দেশে। আমরা আমদানির সুযোগ পেলে বর্তমান বাজারদরের চেয়ে প্রতি পিসে ৪ থেকে ৫ টাকা কম দামে প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাদ্যটি সরবরাহ করতে পারব। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক কর্মকর্তা জানান, ডিম আমদানির অনুমতির বিষয়টি একক কোনো মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই। অনুমোদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিলেও- এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। ফলে ডিমের দাম বাড়ার পর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমদানির অনুমতি চেয়ে চিঠি দিলেও কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সূত্র জানায়, আমদানির অনুমতি নিতে একটি মন্ত্রণালয়ের গড়িমসিতে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করে এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বক্তব্যও দিয়েছেন। গত আগস্টে টিসিবির এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ডিমের কত উৎপাদন হচ্ছে, বাজারে কত চাহিদা আছে, ঘাটতি কত- এ ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আমাদের কিছুই জানায়নি। এমনকি ডিমের উৎপাদন খরচ কত এবং কত টাকা দাম নির্ধারণ করা উচিত, সেটাও তারা বলেনি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যদি এসব তথ্য আমাদের দেয়, তবে বাজার বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম আমদানির অনুমতি দেবে।’ একইদিন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশে বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ টাকা ৫০ পয়সা। তাই খুচরা পর্যায়ে একটি ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হলে সবাই লাভবান হবে।’ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী বাজারে ওই দামে কোথাও ডিম মিলছে না। দেশের বাজারে বর্তমানে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টাকা। মিম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জানান, ভারত থেকে প্রতি পিস ডিমের আমদানি মূল্য সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ টাকা পড়বে। এরসঙ্গে পরিবহন খরচ, ট্যাক্স-ভ্যাটসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করে প্রতিটি ডিম দেশের বাজারে ১০ টাকা বিক্রি করলেও তাদের মুনাফা থাকবে। তবে মুনাফা নয়, দেশের ভোক্তাদের সস্তায় প্রোটিনসমৃদ্ধ এই খাদ্যটি সরবরাহের তাগিদ থেকেই আমদানির অনুমতি চেয়েছেন তিনি। এ কারণে একই বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়েও পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর