রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

লোকালয়ে ক্ষুধার্ত বানর

দিনাজপুর প্রতিনিধি

লোকালয়ে ক্ষুধার্ত বানর

খাবারের খোঁজে বন-জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে দিগি¦দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বানর। কেউ দেখে ভয় পাচ্ছে, আবার অনেকে ঢিল মারছে। ফলে বানরটি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ছুটাছুটি করছে। কোথাও নির্দিষ্টভাবে থাকছে না।    

যারা বানরটিকে খাবার দিচ্ছেন, সে খাবার বানর খেয়ে নিচ্ছে। বানরটিকে দেখে অনেকে বলছেন, এটি ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত। এ বন্যপ্রাণীটি রক্ষা করতে বনবিভাগের এগিয়ে আসা উচিত। জানা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিন ধরে বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে বানরটিকে। চিরিরবন্দরের রানীরবন্দরের বিভিন্ন বাড়িতে ও গাছের ডালে বা উন্মুক্ত স্থানে এটিকে ঘুরতে দেখা যায়। বানরটি কখনো টিনের চালে, কখনো-বা বিভিন্ন গাছের ডালে চড়ে বেড়াচ্ছে। কয়েকজন জানান, কয়েক দিন ধরেই বানরটিকে রানীরবন্দরের তেগআলী শাহ্পাড়া, নশরতপুর বাজার, সুইহারী বাজার, পালপাড়া, দীঘলনালীপাড়া, ফকিরপাড়া, ঘণ্টাঘর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে কিংবা গাছের ডালে খাবারের সন্ধানে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার সকালেও বানরটিকে তেগআলী শাহ্পাড়ায় বিভিন্ন বাড়িতে ও গাছের ডালে ঘুরতে দেখা গেছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, কাঞ্চন সরকার, আমিনুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা।

বানরটি হয়ত ভারত থেকে এসেছে। ১০-১৫ দিন রানীরবন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তেগআলী শাহ্পাড়ার আবদুল্লাহসহ কয়েকজন বলেন, আমরা বানরটিকে কলা, আপেল, বাদাম খাবার দিই। বানরটি চালের ওপর থেকে খাবারগুলো নিয়ে খাচ্ছে। দীঘলনালী পাড়ার ওয়াজেদ আলী জানান, কয়েক দিন আগে এখানেও বানরটিকে দেখতে পাওয়া যায়।

স্থানীয় নারী-পুরুষ ও ছেলেমেয়েরা তখন পেঁয়ারা, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দিয়েছে। এ বিষয়ে দিনাজপুর বনবিভাগের জাতীয় উদ্যান রামসাগরের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মান্নান বলেন, উৎসুক মানুষ যেন বানরটির কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে নজর সবারই রাখতে হবে। আমরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে বানরটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করব। বন্যপ্রাণীটিকে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর