শিরোনাম
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অক্টোবরে রেল যাবে দক্ষিণের বন্দরে

♦ ৯৮ ভাগ কাজ শেষ, খুলনা-মোংলা রেললাইন ঘিরে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ♦ চলছে খুলনায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ ও ফিনিশিং

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

অক্টোবরে রেল যাবে দক্ষিণের বন্দরে

বন্দরকেন্দ্রিক শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পদ্মা সেতুর পর এবার চালু হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেললাইন। খুলনা থেকে সড়কপথে মোংলায় মালামাল পরিবহনে অর্থ ও সময় নষ্ট হয়। সে দুর্ভোগ নিরসনে অক্টোবরের শেষ দিকে খুলনা-মোংলা রেল চালুর কথা বলছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। খুলনা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে মোংলা বন্দরের অবস্থান।

শেষ মুহূর্তে এ রেললাইনের খুলনা অংশে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রেলপথ বসানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে রেল সেতু ও স্টেশন ভবনের ফিনিশিং কাজ চলমান রয়েছে।

জানা যায়, খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ ৬৪.৭৫ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে রেললাইনের ৯৮ ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালে ডিসেম্বরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরে কয়েকটি স্থানে ডিজাইন সংশোধন হওয়ায় আরও তিন মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়। খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, প্রকল্প এলাকায় সয়েল টেস্টের পর ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন আসায় ছোটখাটো ব্রিজ নির্মাণ ও ফিনিশিং কাজে সময় বেশি লাগছে।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এবার তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হওয়ায় ফিনিশিং কাজে সময় লাগছে। বর্তমানে খুলনার আড়ংঘাটা ও লতা এলাকায় সাড়ে চার কিলোমিটার রেলপথ বসানোর কাজ চলমান রয়েছে। সব মিলিয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে পরীক্ষামূলক রেল চালুর কথা রয়েছে।

জানা যায়, মোংলা বন্দর থেকে এসে খুলনার ফুলতলা পয়েন্টে রেলপথটি সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে। বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত, নেপাল ভুটানের সঙ্গেও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে।

আমদানিকারকরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর গার্মেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হচ্ছে। তবে বন্দরের সঙ্গে রেলসংযোগ না থাকায় পণ্য পরিবহনে ভোগান্তিতে এতদিন বড় মালবাহী জাহাজ ভিড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। এ অবস্থায় বন্দর ঘিরে বাণিজ্যিক সমৃদ্ধির কথা বিবেচনায় ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্প্রসারণে মোংলা বন্দরকে রেলসেবার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজের মধ্যে রয়েছে- রূপসা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ, মূল রেললাইন স্থাপন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং স্থাপন। তিন বছর মেয়াদের কাজটির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিতে সময় লাগে দুই বছর। ধীরগতি ও প্রকল্প সংশোধনের কারণে তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পটি ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায়। তবে খুলনা-মোংলা রেললাইন এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের ইতিবাচক দিক দাবি করে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, এটি চালু হলে আঞ্চলিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। যা ডেল্টা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর