বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেছেন, ‘মুনাফালোভী একটি চক্র আলু মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করছে। এখানে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের কোনো দায় নেই। তবে কারা সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে- সরকার চাইলে সেসব তথ্য আমরা দিতে পারি।’ গতকাল রাজধানীর কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সম্মেলন কক্ষে আলুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘কোল্ড স্টোরেজ শেড থেকে আলু বের হয় ১৮ টাকা কেজি দরে। পরে পরিবহন, আড়ত ও খুচরা বিক্রেতাদের খরচসহ সব মিলিয়ে এ আলু ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে যারা আলু সংরক্ষণ করেছে, তারা মনে করছে আলুর মজুদ কম রয়েছে। যে পরিমাণ আলু সংরক্ষিত আছে তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত চালানো যাবে।’

‘কারা আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, কারা সিন্ডিকেট করে আলু মজুদ করছে- তাদের তথ্য আমরা বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়েছি’ উল্লেখ করে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে। এখন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। হিমাগার মালিকদের প্রতি যে একতরফা দোষারোপ করা হচ্ছে- তা সঠিক নয়। সরকার আলু মজুদের যে তথ্য দিচ্ছে তাও সঠিক নয়। কারণ প্রাকটিক্যালি আমরা দেখছি কোল্ড স্টোরেজের ২০ শতাংশ খালি রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু ধীরে ছাড়ছে, ফলে বাজারে দাম বাড়ছে। কেন দাম বাড়ছে তা সরকারের সংস্থাগুলোকে আমরা বলেছি।