মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধর্ষণের পর ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্ত আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত একই এলাকার সাইফুল ইসলামকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা নানাবাড়িতে বেড়াতে যান। ওই দিন জুমার নামাজের সময় একই গ্রামের আকইলপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওই বাড়িতে যায়। এ সময় বৃষ্টি শুরু হয় এবং বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণের একপর্যায়ে গলা টিপে ধরে। এতে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মৃত ভেবে অভিযুক্ত সাইফুল ঘরের পুরনো কাপড়, বস্তা ও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ গায়ের ওপর দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আগুনের তাপে ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি বলে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে ভর্তি করে। এর পরপরই স্থানীয়রা সাইফুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। হাসপাতালে অবস্থার অবনতি হলে পরে গত শনিবার মাদরাসা ছাত্রীকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করে। নানাবাড়ি থেকে ফিরে এসে ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতেই শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ও জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মাদরাসা ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেছেন, ছাত্রীর মুখের কিছু অংশ আর দুই পায়ের পাতা ছাড়া পুরো শরীর ব্যান্ডেজে মোড়ানো। তার ডান হাতে বড় ক্ষত হয়েছে। মেয়েটির শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য দুই থেকে আড়াই মাস হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

 

সর্বশেষ খবর