মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শরতের শুভ্রতা ছড়ানো কাশফুল

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

শরতের শুভ্রতা ছড়ানো কাশফুল

দিন দিন কমে যাচ্ছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবু ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে ফুল-পাখিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। ষড়ঋতুর দেশে ঋতুর বৈচিত্র্য তেমন একটা দেখা যায় না। তবে নদ-নদীর পাশে অথবা সমতলের বিরানভূমিতে কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ফায়ার স্টেশনের পাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে কাশফুল। বছরের এই সময়টা কাশফুলের শুভ্রতায় ছেয়ে যায় এই এলাকা। কাশফুলের ওপরের সাদা মেঘ যেন অপরূপ সৌন্দর্য ছড়িয়েছে ঐতিহ্যের পদ্মাপাড়ের গোয়ালন্দকে। গতকাল বিকালে সরেজমিন কাশফুলের বনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কাশফুল ফুটেছে। বাতাসে ঢেউ তুলছে কাশফুল। কখনো দেখা যায় ঝকঝকে নীলাকাশে সাদা মেঘে ভেসে বেড়ানো। গোয়ালন্দের এই কাশফুলের শুভ্রতা ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে। এদিকে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাধারণ মানুষ এখানে আসছেন। কাশফুরের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে অনেককেই। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন শেখ বলেন, এ বছর শরতে আমাদের এখানে অনেক কাশফুল ফুটেছে। আগে কোনো দিন এত কাশফুল দেখিনি। কাশফুল আর আকাশের মেঘ মিলিয়ে চমৎকার দৃশ্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয় না। এই কাশফুল প্রকৃতির বুকে ভিন্ন সৌন্দর্য এনে দিয়েছে। রাজবাড়ী জেলা শহর থেকে তনুশ্রী দত্ত এসেছিলেন কাশফুল দেখতে। তিনি বলেন, গ্রামবাংলার প্রকৃতি পাল্টে যাচ্ছে। উজাড় হয়ে যচ্ছে গাছপালা। বর্তমানে ফুল, পাখির সংখ্যা কমে গেছে। এখন আর তেমন কাশফুলের বাগান চোখে পড়ে না। ঢাকা থেকে আসার সময় বাস থেকে কাশফুলের বাগান দেখেছিলাম। আজ পরিবারসহ এখানে আসছি। সত্যি অসাধারণ দৃশ্য। শরতের পূর্ণতা দিয়েছে গোয়ালন্দের এই কাশফুল।

 

সর্বশেষ খবর