আদেশ দেওয়ার পর বেঞ্চের বিরুদ্ধে অনাস্থার আবেদন আনার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আক্রমণাত্মক বক্তব্য ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফরম থেকে সরানোর আদেশের পর্যবেক্ষণে আদালত এমন মন্তব্য করেন
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে গত ২৮ আগস্ট দেওয়া এ আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে। গতকালই রায়ের অনুলিপি বিটিআরসি হাতে পেয়েছে বলে জানা গেছে। এ আদেশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওইদিন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এ সময় এজলাস ছেড়ে যান বিচারকরা, বন্ধ থাকে বিচার কাজ। সেদিনের বিষয়টি উল্লেখ করে হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্লাটফরম থেকে অপসারণের আদেশ দান করা হয়। এ আদেশ দানের পর এ বেঞ্চের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে আদেশ রিকল (প্রত্যাহার) করার আবেদন জানায় আবেদনের পক্ষের আইনজীবীরা।
হাই কোর্ট বলেছেন, এ মামলায় পক্ষভুক্ত হতে করা আবেদন গত ২৪ আগস্ট খারিজ করা হয়। এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু হাই কোর্টের আদেশের ওপর কোনো ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ আইনজীবীরা দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া আইনের দৃষ্টিতে পলাতক হওয়ার তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করার কোনো সুযোগ নেই। আদালত আরও বলেছেন, যেহেতু উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে সেহেতু তা রিকল করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া আদেশদানের পর বেঞ্চের বিরুদ্ধে অনাস্থা আবেদন আনারও কোনো সুযোগ নেই।