বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানির অপচয় বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পানির অপচয় বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সচেতনতা বাড়াতে হবে। পানির ব্যবহারে মানুষ যেন মৃতব্যয়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওয়াসার পানির উৎপাদন খরচের একটা সমন্বয় করতে বলেছেন তিনি। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভায় ১৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত ১৯টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১২ হাজার ৬০ কোটি ১৯ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৪৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের তহবিল দেবে ফ্রান্স। বাংলাদেশে সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনায় এর নিশ্চয়তা মিলেছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ১৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, পানি ব্যবহারে অনেকে সচেতন না। পানির অপচয় বন্ধ করতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। পানির ব্যবহারে মানুষ যেন মৃতব্যয়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ওয়াসার পানির উৎপাদন খরচের একটা সমন্বয় করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে পানির অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন। অনেকে পানির ট্যাপ ছেড়ে রাখেন, এটা যেন না হয়, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন খাতে ১ বিলিয়ন পাওয়া যাবে। ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প নিতে হবে। সুন্দরবন গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া জলাভূমি অঞ্চলে সড়ক সংস্কার করতে হবে। পানির চাপ বাড়লে অধিক কালভার্ট ও ব্রিজ বানাতে হবে। সেতু বানালে উচ্চতা খেয়াল করবেন, নকশা ভালো হতে হবে কাজ করতে গিয়ে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন)’ প্রকল্প, ‘ফেনী (মোহাম্মদ আলী বাজার)-ছাগলনাইয়া-করেরহাট সড়ক (ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক) (জেড-১০৩১) প্রশস্তকরণ এবং ফেনী নদীর ওপর শুভপুর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ‘২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্টগুলোর জরুরি পুনর্বাসন ও পুনর্নির্মাণ’ প্রকল্প।

ডিজেএফবির প্রকাশনা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী : পরিকল্পনা কমিশন ও ইআরডি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি) প্রকাশনা ‘স্টেট অব দ্য ডেভেলপমেন্ট : ইমপ্যাক্ট অব মেগা প্রজেক্টস’-এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের শুরুতেই এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের পক্ষে বইটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় ডিজেএফবি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডিজেএফবির প্রকাশনা হাতে নিয়ে আনন্দিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর