বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চিরকুট লিখে আত্মহত্যা নারী চিকিৎসকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিরকুট লিখে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সুস্মিতা সাহা নামে এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে নাখালপাড়া এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাবা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আরামনগর গ্রামের সনজিত কুমার সাহা। গতকাল এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম। এদিকে, রাজধানীর খিলগাঁওয়ে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে কানিজ ফাতেমা (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, এক মাস ধরে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় থাকতেন সুস্মিতা। সেখানেই সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ খান তিনি। গুরুতর অবস্থায় তাকে তেজগাঁওয়ের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

ওসি আরও বলেন, মিরপুর-১৪ নম্বরে অবস্থিত ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সদ্য পাস করা চিকিৎসক সুস্মিতা কোথাও চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। একটি মুসলিম ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। রাতে ওই ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি একটি চিরকুট লিখে গেছেন, যা ইতোমধ্যে জব্দ করেছে পুলিশ। সেই চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘....একবার আমার মুখটা দেখ। আমি একবার তোমাকে দেখতে চাই। ওষুধের রিয়াকশন শুরু হয়ে গেছে। তোমার সুখ, তোমার পাশে অন্য কাউকে দেখে আমার বাঁচা সম্ভব না। কোথাও আমাকে পেলে অপরিচিত হয়ে এড়িয়ে যেতে। সুখী হও।’ ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, সুস্মিতার সঙ্গে ওই ছেলেটা প্রতারণা করেছেন। তাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও করেনি। সম্প্রতি ওই ছেলেটা বিয়ে করেছেন। এটা সুস্মিতা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরই জের ধরে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সুস্মিতার পরিবার ওই ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেছে। ছেলেকে ধরতে অভিযান চলছে। এদিকে, গত সোমবার রাতে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ গোড়ান এলাকার ১৭/১ নম্বর বাসা থেকে গৃহবধূ ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়। খিলগাঁও থানার এসআই সোনিয়া পারভীন জানান, দুবাই প্রবাসী স্বামী পারভেজের সঙ্গে সোমবার রাত ১০টার দিকে ফোনে কথা বলেন ফাতেমা। তখন তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্বজনরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গিতে। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন।

সর্বশেষ খবর