বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জোড়া জলহস্তী আসছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জোড়া জলহস্তী আসছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ যাবে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায়। ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া জলহস্তী আসবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। দুই চিড়িয়াখানার মধ্যে পশু বিনিময়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যোগ হবে নতুন অতিথি। ২০ সেপ্টেম্বর এগুলো আনার প্রক্রিয়ার কথা। জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ছোট বড় মিলিয়ে ১৬টি বাঘ আছে। এ ছাড়া চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত মোট ৭০ প্রজাতির পশু-পাখি আছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে। এক জোড়া জলহস্তী যোগ হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা হবে ৬২০টি। এর আগে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল ম্যাকাউ পাখি, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, ওয়েলবিস্ট, লামাসহ বিভিন্ন প্রাণী। প্রতিদিন চিড়িয়াখানা দর্শনার্থী আসছে ৪ থেকে ৫ হাজার। তবে শুক্রবার-শনিবার ও বন্ধের দিন আসে ১০ হাজারের বেশি। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এক জোড়া বাঘ জাতীয় চিড়িয়াখানায় যাবে। সেখান থেকে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসবে। ২০ সেপ্টেম্বর এগুলো আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। জলহস্তীগুলো আগে কুমির যেখানে ছিল, সেখানে রাখার জন্য নতুন করে খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে। আর কুমিরের খাঁচা স্থানান্তর করে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় জলহস্তী যোগ হওয়ার মাধ্যমে সমৃদ্ধ হচ্ছে। এগুলো দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করবে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিকমানের করতে নিয়িমিত প্রাণী যোগ করা হচ্ছে। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এটি প্রতিষ্ঠা হয়। এ ছাড়া বিগত ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে টিকিট বিক্রির টাকা দিয়ে আমূল পরিবর্তন হয় চিড়িয়াখানার। বর্তমানে ৭০ প্রজাতির ৬২০টি পশু-পাখি আছে। এর মধ্যে বাঘ, সিংহ, কুমির, জেব্রা, ময়ূর, ভালুক, উটপাখি, ইমু, হরিণ, বানর, গয়াল, অজগর, শিয়াল, সজারু, বিভিন্ন জাতের পাখি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আছে পাঁচটি বিরল সাদা বাঘসহ ১৬ বাঘ ও ছয় জেব্রা। নির্মাণ করা হয় নান্দনিক সিঁড়ি, পুরাতন খাঁচাগুলো ফেলে দিয়ে বানানো হয়েছে নতুন খাঁচা। কুমিরের খাঁচা সম্প্রসারণ করে করা হয় দ্বিগুণ। ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে প্রধান ফটক। বাড়ানো হয়েছে পশু পাখির সংখ্যা। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে নির্মিত হয়েছে ৩২ হাজার ১৬৪ বর্গফুট আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা। পুরো চিড়িয়াখানা এখন সিসি ক্যামেরার আওতায়। শিশুদের জন্য রয়েছে বিস্তৃত পরিসরের কিডস জোন। দর্শনার্থীদের জন্য বানানো হয়েছে নান্দনিক রূপের বসার স্থান এবং পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। চিড়িয়াখানার তাপমাত্রা সঠিক রাখতে লাগানো হয়েছে হাজারেরও বেশি ফলদ ও ফলজ বৃক্ষ। প্রাণিখাদ্য সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা স্টোর রুম, কোয়ারেন্টাইন রুম এবং অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক প্রাণী হাসপাতাল। দর্শনার্থী ফি দিয়ে চিড়িয়াখানার পশু-পাখির খাদ্য জোগান ও নতুন প্রাণী সংগ্রহ করা হয়।

সর্বশেষ খবর