বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

৫৫ কেজি সোনা চুরিতে আটজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় কাস্টমসের আটজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ছাড়া প্রায় ৯৪ ভরি (এক কেজির কিছু বেশি) সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) বদিউজ্জামান জিল্লু। তিনি বলেন, কাস্টমসের চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার সিপাহিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৯৪ ভরি সোনা। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ডিবি সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম (৩৬), সাইদুল ইসলাম সাহেদ (৩৩), আকরাম শেখ (৩৬) ও মাসুম রানা (৩৩)। এ ছাড়া সিপাহি মোজাম্মেল হক (৩৫), নিয়ামত হাওলাদার (২৭), রেজাউল করিম (৩৬) ও আফজাল হোসেন (২৯)। আদালত সূত্র জানিয়েছে, এদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মেহেদী হাসান তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিমান বন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় করা মামলা তদন্ত করছে ডিবির উত্তরা বিভাগ। তদন্তের জন্য আমরা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।

রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানার চেষ্টা করব তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত। তারা বাকি সোনাগুলো কোথায় সরিয়েছে তা জানার চেষ্টা করব। সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে ২ সেপ্টেম্বর। বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর। বিমান বন্দরের কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয় অজ্ঞাতদের আসামি করে। এসব সোনার দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উদ্ধার হওয়া ৪৮টি ডিএম বার- যার মোট ওজন ৮.০২ কেজি ও ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময়ে আটক ৩৮৯টি ডিএম বার- যার মোট ওজন ৪৭.৪৯ কেজি সোনা আলমারির লকার ভেঙে চুরি হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১৫ থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কে বা কারা বর্ণিত সোনার বার ও স্বর্ণালঙ্কার গোডাউন থেকে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে চুরি করেছে। এই পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য কাস্টমসের যুগ্ম-কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করে কাস্টমস হাউস। ঘটনার পর চার রাজস্ব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, মাসুম রানা ও আকরাম শেখ।

 

সর্বশেষ খবর