বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাবা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি ও তার মেয়ে রাশেদাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামে গতকাল সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সুমন রাশেদার সাবেক স্বামী। বিবাহ বিচ্ছেদ ও রাশেদার দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে তিনি এ হামলা চালান। এ সময় বাদশা মিয়ার স্ত্রী আঙ্কুরীকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। দুজনের লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আহত আঙ্কুরীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাদশা মিয়া চরকলাকোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে রাশেদার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জাহিদ নামের তিন বছরের ছেলে রয়েছে। তারা চট্টগ্রামে চাকরির সুবাদে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করে আসছিলেন। হঠাৎ ওই যুবক তাকে অমানুষিক নির্যাতন (মারধর ও যৌন নিপীড়ন) শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে রাশেদাকে তার বাবা-মা কৌশলে লক্ষ্মীপুরে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। একই সঙ্গে ওই ছেলের সঙ্গে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করে ফেলে। পরে তাকে এলাকায় ফের বিয়ে দেওয়া হয়। অনেক দিন হয়ে গেলেও সুমনের কাছে রাশেদা ফিরে না যাওয়ায় বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসে। এ সময় তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে ও তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দরজা বন্ধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে রাশেদাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় বাধা দিতে গেলে তার বাবা ও মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সুমন। এ সময় ঘটনাস্থলেই বাবা ও মেয়ে মারা যান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সুমন পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

 

সর্বশেষ খবর