শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপিতে একাধিক, জাপায় একক নৌকার প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

বিএনপিতে একাধিক, জাপায় একক নৌকার প্রার্থী চায় আওয়ামী লীগ

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনটিকে এক সময় আওয়ামী লীগের দুর্গ বলা হতো। গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে এ আসনটি জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকলেও দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর বিষয়ে সবারই রয়েছে ঐকমত্য।

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এখানে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা তেমন শক্তিশালী না হলেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভিত্তিকে কাজে লাগিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগে কোন্দল সৃষ্টি করে একটি অংশকে সুবিধা দিয়ে নিজের অবস্থান সবসময় মজবুত রেখেছেন এমপি চুন্নু- এমন অভিযোগ আছে দলীয় নেতা-কর্মীদের। তবে এবার পরিস্থিতি অনেকটা ভিন্ন। আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে স্লোগান উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার। এ দাবিতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। আগেরবারও দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। না পেয়ে দমে যাননি। নৌকা প্রতীকের দাবিকে তৃণমূলে নিয়ে গেছেন তিনি।

অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবির এলাকায় সমাবেশ, গণসংযোগ, গরিব ও দুস্থদের সহায়তা দিয়ে প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিটি ইউনিয়নে তার সমর্থনে হচ্ছে বড় শোডাউন। নিউইয়র্ক প্রবাসী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক হায়দার ও শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন সাংগঠনিক তৎপরতার বাইরে সক্রিয় রয়েছেন দরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে। আরেক তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেল হক মাখন নৌকা প্রতীকের আশায় প্রতিটি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, করছেন গণসংযোগ। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরও যারা মাঠে রয়েছেন, তারা হলেন জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য শেখ কবির আহমেদ, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমরান আলী ভূইয়া ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবারও দলের একমাত্র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি এমপি হয়েছেন। এককভাবে নির্বাচন করলে আগের মতো সুবিধা নাও মিলতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিতায় রয়েছেন দলের অনেক নেতা-কর্মী।

বিএনপি থেকে এ আসনে এমপি ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি দেশের বাইরে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন তিনিও। এ ছাড়া আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জালাল মোহাম্মদ গাউস ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন।

এ আসনে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এনামুল হক ইদ্রিস, জামায়াতে ইসলামী থেকে জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক ও ইসলামী আন্দোলন থেকে জেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর