শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার বাড়ছেই

দিনাজপুর প্রতিনিধি

তুলনামূলক খরচ কম এবং ফসলের উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। নিজের জমিতে এ সার ব্যবহারে বাড়তি ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদিত কেঁচো কম্পোস্ট সার বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করছেন অনেক কৃষক।

ঘরে ঘরে কেঁচো সার তৈরি করে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখছেন অনেক চাষি। কেঁচো ও গোবর দিয়ে তৈরি জৈব সার প্রয়োগে উর্বর শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে জৈব সারের বিকল্প নেই এটা বিবেচনায় সচেতন কৃষক জমিতে এ জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এগিয়ে এসেছে কৃষক। এর আগে স্থানীয় কৃষি বিভাগ রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। সে লক্ষ্যে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট ফেজ-টু এর আওতায় মহিলা কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ-সিআইজি দলের ৩০ চাষিকে কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। ঘোড়াঘাট উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নারী-পুরুষদের নিয়ে ৪০টি কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ-সিআইজি দল গঠন করা হয়েছে। এদের জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। জমিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে তারা সফলতা পেয়েছেন এবং ফসলের উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হয়েছে।

ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের ঘুঘুরা গ্রামের সিআইজি কৃষক দলের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে ফসলের জমিতে ব্যবহার করছি ও বাড়তি সার ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। একই গ্রামের আদর্শ কিষাণি মোছা. জমিলা বেগম বলেন, এ সার তিনি সবজি খেতে ব্যবহার করে ভালো ফলন পাচ্ছেন। বর্তমানে সবজি চাষের পাশাপাশি আমন খেতে এ সার ব্যবহার করছেন। এ সার উৎপাদনে তুলনামূলক খরচ কম। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান জানান, রাসায়নিক সার ব্যবহারে উৎপাদিত ফসল ও খাবার খেয়ে মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে আমরা ফসলের জমিতে কৃষকদের কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর