রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চালুর আট মাসে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাতবার বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চালুর পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক লেগেই রয়েছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত টানা আট মাসের মাথায় সপ্তমবারের মতো বন্ধ হয়ে গেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এবার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। গত শুক্রবার রাত ১১টা ২৬ মিনিট থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ছাই নির্গমন প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে এটি বর্তমানে বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছে। এর আগে কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি, ২৩ এপ্রিল ও ৩০ জুলাই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমবার কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় প্রায় এক মাস বন্ধ ছিল কেন্দ্রটি। দ্বিতীয় দফায় কয়লা সংকটে কেন্দ্রটি প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ ছিল। আর তৃতীয় দফায় বন্ধ ছিল প্রায় ১৬ দিন। এর বাইরে কয়লা সংকটে বিভিন্ন সময় আংশিক উৎপাদনে চলে কেন্দ্রটি। ১৫ এপ্রিল রাত থেকে তিন দিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। এরপর ৩০ জুন কেন্দ্রটি দ্বিতীয় দফা বন্ধ হয় কারিগরি ত্রুটির কারণে। তখন কেন্দ্রটি চালু করতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগে। যদিও চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ১৬ জুলাই আবার কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয় এ কেন্দ্রটি।

প্রায় সপ্তাহখানেক সেবারও বন্ধ ছিল কেন্দ্রটি। এছাড়া গত এক মাস (প্রায়) ধরে কয়লা সংকটে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন হচ্ছে না কেন্দ্রটিতে। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে আবারও কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি। পিডিবি পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শামীম হাসান জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের ছাই নির্গমন প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাত ১১টা ২৬ মিনিটে ফোর্স সাট ডাউন করা হয়। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির এমন ঘনঘন বন্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বাভাবিক মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের যন্ত্রপাতিতে কিছু সমস্যা আছে। এজন্য কেন্দ্রটি সমস্যায় পড়ছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা কেনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চাহিদামতো কয়লা আমদানি করতে পারেনি। এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিটটির কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী মাস থেকে এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর কথা।

 

সর্বশেষ খবর