রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মুরগি-ছাগলের রক্ত দিয়ে চিকিৎসা!

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

মানুষ অসুস্থতা থেকে সুস্থ হতে অনেক পথ অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু চিকিৎসা হতবাক করে দেয়। এমন অবাক করার মতো চিকিৎসা করতে দেখা গেছে পাথরঘাটায়। বরগুনার পাথরঘাটায় জীবিত মুরগির পা কেটে ও ছাগলের গলার নিচে ছুরি দিয়ে অল্প কেটে রক্ত বের করে সেই রক্ত রোগীর মুখ ও হাতে-পায়ে মেখে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মিনারা বেগমের বিরুদ্ধে। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন স্বামী খাদেম শামীম। জীবিত মুরগি ও ছাগলের রক্ত দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার কথা সাংবাদিকের কাছে অকপটে স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত মিনারা বেগম। শুধু তাই নয় তিনি নিজেকে একসঙ্গে দুটি ধর্ম পালনের কথাও স্বীকার করেছেন।

মিনার বেগম পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তার শ্বশুর ইউসুফ কবিরাজের বাড়িতে বসেই এ চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মাসুদ রানা জানান, প্রান্তিক এই এলাকার মানুষের সরলতার সুযোগে মাঝে মাঝে এলাকায় কিছু প্রতারক চক্র এসে প্রতারণা করে। এদের সঙ্গে চিকিৎসা শাস্ত্রের কোনো মিল নেই। গতকাল সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ১৬ বছর আগে চট্টগ্রামে গৃহকর্মীর কাজে যান মিনারা। সেখানে গিয়ে তান্ত্রিক কবিরাজ বাবা তাহেরীর আস্তানার সন্ধান পেয়ে তার ভক্ত হন। সেখান থেকে তিন বছর সাধনা করে স্বপ্ন দেখে আধ্যাত্মিকতা লাভ করেন। এরপর মানুষের সেবার উদ্দেশে নিজ বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটায় এসে ক্যান্সার, আলসার, দাম্পত্য কলহের সুরাহাসহ জাদুটোনার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। মিনারা বলেন, আমার ওপর দুটো জিনিস ভর করে আছে। একটি ভালো ও অপরটি খারাপ। ভালোটাকে ফুল-ফল ও গোলাপ জল দিয়ে পবিত্র রাখতে হয়। তার জন্য ঘরের কোনে একটি আস্তানা তৈরি করে রেখেছি। অপরটির জন্য তাজা রক্তের খাবার দিতে হয়। তিনি রোগের চিকিৎসা ভেদে ১ হাজার ৬৫১ থেকে ২ হাজার ৬৫১ টাকা নিয়ে থাকেন। তার ওপর ভর করা ভালোটার জন্য নামাজ ও খারাপটার জন্য পূজা করেন।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর