মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বাধাহীন ছুটল বাস, উচ্ছ্বসিত যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাধাহীন ছুটল বাস, উচ্ছ্বসিত যাত্রী

ছবি : রোহেত রাজীব

চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীবাসীর বাধাহীন চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শুরুতে শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করলেও গতকাল থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস। যাদের প্রাইভেট কার নেই, তাদের ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে গণপরিবহনে যাতায়াত করে। বাধাহীন পথে বাসে ভোগান্তিহীন ও অল্প সময়ে চলাচল করতে পারছেন নগরবাসী। গতকাল ফার্মগেটের খামারবাড়ি প্রান্ত থেকে এ বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনেই গণপরিবহনে যাতায়াতে বেশ ভিড় ছিল যাত্রীদের। উচ্ছ্বসিত ছিলেন চলাচলরত যাত্রীরা। বাস চালুর আগেই যাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে যান। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে চাইলে যাত্রীদের এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে হবে। এর মাঝে কোথাও বাস থামবে না। এদিকে, বাস চলাচল উদ্বোধন করার আগে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হওয়া বিআরটিসি বাসে যাত্রীর সংখ্যা বাড়লে গাড়িও বাড়ানো হবে। সড়ক সচিব বলেন, সাধারণ মানুষের অনেক দিনের দাবি ছিল বাস সার্ভিস চালুর। ফার্মগেট গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, অনেক যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করেন। ফার্মগেট একটি হাব। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ফার্মগেট থেকে বিআরটিসির আটটি বাস চলবে। যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা গাড়ি বাড়াব। মোটরসাইকেল ও সিএনজি চলাচল প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোটরসাইকেল আপাতত চলবে না। পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। পদ্মা সেতুতে প্রথমে চলতে দেওয়া হয়নি মোটরসাইকেল। পরে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পদ্মা সেতুতে উঠে ছবি ও সেলফি তোলেন। আমরা মানুষকে বারবার সতর্ক করছি। নিরাপত্তা বাহিনী বারবার সতর্ক করছে। মানুষের একটা আবেগ কাজ করে। আর এটা তো এক্সপ্রেসওয়ে, এখানে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলবে। ফলে সতর্ক হতে হবে। মোটরসাইকেলের বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। বাসে যাতায়াতে ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যে ভাড়া আছে, সে ভাড়াই থাকবে উল্লেখ করেন সচিব। বাসে ই-টিকেটিং চালুর প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আমরা ই-টিকেটিং চালু করব না। আমরা বিআরটিসিতে স্মার্ট কার্ড চালু করতে চাচ্ছি। যেটা বিআরটিসিতে চলবে, মেট্রোতেও চলবে। কার্ড প্রস্তুত রয়েছে। এটা কার্যকর করতে একটু সময় লাগবে। একই কার্ড দিয়ে বিআরটিসি এবং এমআরটিসিতে চলাচল করা যাবে।

বাসগুলো উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে যাত্রীদের তুলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সরাসরি ফার্মগেট আসবে। অন্যদিকে ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে বিশেষ এ বাস সার্ভিস। খেজুরবাগান থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ৩৫ টাকা এবং জসিমউদ্দিন রোড পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার যাত্রার জন্য ৪০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া হবে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট রুট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ খবর