কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকার আদর্শ হাসপাতাল। সেখানে শুধু দেখে দেখে অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) ইনচার্জ হয়েছেন সুজন মিয়া। এইচএসসি পাস করেছেন, আর কোনো সনদ নেই। তাই ওই ব্যক্তিকে পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে এই অনিয়ম ধরা পড়ে। এ অনিয়মে গতকাল আদর্শ হাসপাতালকে ১ লাখ ও হাসপাতালের ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে জেলা সদর হাসপাতালের পাশের ক্লাসিক কনসালটেশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দাম বেশি রেখে দেওয়া হচ্ছিল ডিসকাউন্ট। এ ছাড়া অতিরিক্ত দামে করা হচ্ছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এমন অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন অনিয়মে আদর্শ হাসপাতাল ও ক্লাসিক কনসালটেশন অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে জরিমানা করা হয়।