শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
গণতন্ত্র মঞ্চের আলোচনা সভা

সংবিধান মেনেই এ সরকারকে চলে যেতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সংবিধান মেনেই এ সরকারকে চলে যেতে হবে। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচন, সংবিধানসম্মত নয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছিলেন। ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ এ সভার আয়োজন করে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তৃতা করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ। আ স ম আবদুর রব বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এই সরকার জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকার অসাংবিধানিক ও অবৈধ। সংবিধান মেনেই এই সরকারকে চলে যেতে হবে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সব নীতি বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের একটাই ধান্দা। তারা কোনো নীতিকথা শুনবে না। কারণ তারা সকল নীতি বর্জন করেছে, দেশের ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। আগামীতে নির্বাচনে গুন্ডা-হোন্ডা সবই যাবে, তারপর বিদেশিদের দেখাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। জোনায়েদ সাকি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের যে রায়ের কথা বলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দেয়, সেই রায়ের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছিল, আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এবং আদালতের রায় বিকৃত করে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে সমস্যাগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে এখন সরকার বলছে, নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। আওয়ামী লীগের এখন যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাদের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে তাহলে এক দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করতে পারে। কিন্তু সরকার এখন আরেকটা নীল নকশার নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, নাগরিকদের ভোটের অধিকার সংবিধান দিয়েছে। কিন্তু সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের সংবিধানসম্মত এই অধিকার পদদলিত করছে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেনি। প্রধানমন্ত্রী তখন মিথ্যাচার করেছিলেন। আদালত এখানে ভূমিকা নিতে পারত, কিন্তু নেয়নি। একতরফা কোনো নির্বাচন হতে পারে না।

সর্বশেষ খবর