ভারতের নতুন সংসদ ভবন ‘পার্লামেন্ট হাউস অব ইন্ডিয়া’য় পার্লামেন্ট ও রাজ্যসভাগুলোতে নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসনের নিশ্চয়তা রেখে ঐতিহাসিক বিল পাস হয়েছে। বিলটি সর্বপ্রথম প্রস্তাব করা হয় ১৯৯৬ সালে, তবে কয়েক যুগ ধরে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে এটি অমীমাংসিত অবস্থায় ছিল। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টাব্যাপী উত্তপ্ত বিতর্কের পর লোকসভায় পাস হয় বিলটি। এখন প্রয়োজন হবে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা রাজ্যসভার আইনপ্রণেতাদের দ্বারা এটির অনুমোদন। সেখানে বিলটি পাস হলে তা ভারতের রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য চলে যাবে। অনুমোদনের পরই তা আইনে পরিণত হবে। তবে, তা বাস্তবায়নের জন্য ভারতে আদমশুমারি সমাপ্তির ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। খবরে বলা হয়, দেশটিতে প্রতি ১০ বছর অন্তর শুমারির কথা থাকলেও ২০২১ সালে করোনার কারণে তা হয়নি। যদিও আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালে এই শুমারি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আসন সংখ্যা বাড়াতে সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাস যা সীমা নির্দেশনা হিসেবে পরিচিত, এই বিলটির বাস্তবায়নকে আরও জটিল করতে পারে।

এদিকে বুধবার লোকসভায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিলটি পাসের জন্য সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি ভারতের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি করে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বর্তমান লোকসভাকে ‘ঐতিহাসিক আইনসভা’ হিসেবে অভিহিত করেন।

বেশ কয়েকজন বিরোধী এমপি পিছিয়ে পড়া অন্যান্য শ্রেণির নারীদের জন্য আলাদা কোটা প্রবর্তনের দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে বুধবার পার্লামেন্টে সোনিয়া গান্ধী বলেন, সরকারের উচিত গোত্র ভিত্তিক একটি শুমারি পরিচালনা করা অথবা পিছিয়ে পড়া অন্যান্য শ্রেণির মানুষের একটি তালিকা তৈরি করা। কিছু বিরোধী এমপি অবশ্য এই বিল পাসের প্রক্রিয়াটিকে ক্ষমতাসীন দলের আইওয়াশ হিসেবে বর্ণনা করেন।

উল্লেখ্য, সংসদের পুরনো ভবনকে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় জানিয়ে গত মঙ্গলবার নতুন ভবনে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। নতুন সংসদ ভবনের নাম রাখা হয়েছে ‘পার্লামেন্ট হাউস অব ইন্ডিয়া’। পুরনো ভবনের নাম হবে ‘সংবিধান সদন’।