রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সিপিবির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমান সরকার একদিকে প্রচলিত ব্যবস্থা বহল রেখে মুক্তবাজারের নামে সবকিছু বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়ে, সিন্ডিকেট ও মজুদদার লুটেরাদের তোষণ করে চলেছে। অন্যদিকে ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে হম্বিতম্বি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার লোকদেখানো চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

গতকাল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ত্রিদিব সাহা, সেকেন্দার হায়াৎ প্রমুখ।

নেতারা বলেন, চিরকাল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পথ হিসেবে সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকেই সমাধানের পথ হিসেবে সবাই জেনে এসেছে। স্বৈরাচারী সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী আজ দেশবাসীকে সবক দিচ্ছেন সিন্ডিকেট মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোটা বাজার ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হবে। এই বাণিজ্যমন্ত্রীকে অপসারণ না করে প্রধানমন্ত্রী জানান দিয়েছেন নিত্যপণ্যের বাজারে চলমান অবাধ লুটপাট ও নৈরাজ্যের তিনিও একজন হোতা। বড় বড় অর্থনীতিবিদরা নানান নসিহত প্রদান করলেও পরিস্থিতির কোনো হেরফের হচ্ছে না, কারণ রাজনৈতিক পরিবর্তন ব্যতীত বাজার জনসাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার কর্মসূচি গ্রহণ সম্ভবপর নয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ব্যাপক লুটপাট এবং ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি চূড়ান্ত রকম ঝুঁঁকির মুখে পড়েছে। নিকট ভবিষ্যতে আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো সুনিশ্চিত রিজার্ভ নেই। এই অবস্থায় কৃষি উৎপাদনে, পোশাক শিল্পে, রেমিট্যান্স ও ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এর দিক থেকেও কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। যার প্রধান কারণ দেশে প্রতিনিধিত্বশীল শাসন না থাকা। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মৌলিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনাটা জরুরি।

সর্বশেষ খবর