সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নদীখেকোদের পেছনে একজন নারী মন্ত্রী

বললেন কমিশন চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, হায়েনার দল নদী দখলে হামলে পড়েছে। এসব দখলদারদের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী দখলের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে বারবার চেষ্টা করেও মেঘনা থেকে বালুখেকোদের সরানো যাচ্ছে না। এর আগে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে গিয়ে প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা স্ট্যান্ড রিলিজ হন। তাদের শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। গতকাল বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মনজুর আহমেদ বলেন, মেঘনায় বালুমহাল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, যেখান থেকে যতটুকু বালু উত্তোলন করার কথা, তারা তা মানে না। ফলে নদীর ক্ষতি হয়, ইলিশের ক্ষতি হয়, নদীভাঙন দেখা দেয়। ইজারার নামে মেঘনা থেকে এক ব্যক্তি ৬৬৮ কোটি সিএফটি বালু চুরি করেছেন। ওই বালুর আর্থিক মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাকে ২৬৭ কোটি টাকা রয়্যালটি দেওয়ার কথা বলে তার চুরিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মেঘনা থেকে আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ঢাকার আশপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করতে পারলেও পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ দেশের অন্য নদ-নদীগুলো দখলমুক্ত করতে পারিনি। এখানে বড় বাধা রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বালুখেকো এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিলেন। পরপরই তিনি বদলি হয়ে যান। একই সময় এডিসি দাউদ হায়দার চৌধুরীকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। ইলিশ গবেষক ড. হারুণকে চিংড়ি গবেষণায় পানিশমেন্ট বদলি করা হয়। আদালতের নির্দেশনায় ঢাকার আশপাশের শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ এবং বুড়িগঙ্গা দখল ও দূষণমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। নদীগুলো আমরা দখলমুক্ত করতে পারলেও দূষণমুক্ত করতে পারিনি। দূষণমুক্ত করার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদফতরের। এ ব্যাপারে বারবার চিঠি দিয়েও তাদের ঘুম ভাঙাতে পারিনি। নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন,  দেশের এমন কোনো নদ-নদী নেই যেখানে দখলদার হামলে পড়েনি। ইজারা দেওয়ার নামে কর্ণফুলী নদী বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর