বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১২৩ জন হাসপাতালে ভর্তি

ফরিদপুরে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে ফরিদপুরে মারা গেছেন পাঁচজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৯৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১২৩ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১২৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৭৪ জন ও ঢাকার বাইরের ২ হাজার ৩৪৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা পাঁচজন ও ঢাকার বাইরের ১০ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮০ হাজার ৪৯০ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯১ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৬ হাজার ২৯২ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯০ জন। আমাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ফরিদপুরে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পাঁচজনের। এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি ফরিদপুরে এবং একজনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যারা মারা গেছেন তারা হলেন- জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ভাটদী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাব বেগম (৫৫), সদরপুর উপজেলার যাত্রাবাড়ী গ্রামের লাবনী বেগম (২৫), ভাঙ্গা উপজেলার ডাঙ্গারপাড় গ্রামের বাসিন্দা সমির সরকার (২২), একই উপজেলার গঙ্গাধরদী গ্রামের বাসিন্দা সানজিদা বেগম (২৭) এবং কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা মধুসূদন বিশ্বাস (৭৫)। এছাড়া নতুন করে আরও ২৬২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১১ হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১০ হাজার ৪২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ৫৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর