বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে কাদের

ঘরের আগুনে পুড়বে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও টঙ্গী প্রতিনিধি

ঘরের আগুনে পুড়বে বিএনপি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিজেদের ঘরের আগুনে বিএনপি পুড়বে। তাই বিএনপিকে ঘর সামলানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সামনে আরও কত তৃণমূল হয়, তা দেখতে চাই। গতকাল বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীর শফি উদ্দিন একাডেমির মাঠে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি বিএনপিকে। এই ৩৬ দিন বিএনপিকে দাঁড়াতে দেব না। সব জায়গা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের দখলে থাকবে, শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে থাকবে। বিএনপি নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার নাকি মেয়াদ শেষ, আমাদের নাকি মেয়াদ শেষ, অক্টোবরে নাকি সবশেষ। বিএনপির কী হবে অক্টোবরে? ১৫টা অক্টোবর দেখলাম আগামীতেও দেখব। শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল। শেখ হাসিনা লাল-সবুজের পতাকা হাতে ডাক দিয়েছেন। শেখ হাসিনার ম্যাজিক দেখাইয়া দেব, একটু অপেক্ষা করেন। শেখ হাসিনার ম্যাজিক উন্নয়নের ম্যাজিক, শেখ হাসিনার ম্যাজিক মুক্তিযুদ্ধের ম্যাজিক। শেখ হাসিনার ম্যাজিক জাতীয় পতাকার ম্যাজিক, হাসিনার ম্যাজিকের জয় হবে। আপনারা এখন তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরা অপেক্ষা করছি ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে, দেখাইয়া দেব। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ ম লের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিমিন হোসেন রিমি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, গাজীপুর সিটির সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ, মহিলা লীগ, প্রজন্ম লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে একপর্যায়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। বিএনপির একদফা, ২৭ দফা, গণতন্ত্র, ক্ষমতা, রাষ্ট্র মেরামত সবই ভুয়া। বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের নামে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবেন। তিনি বলেন, খেলা হবে খেলা। দুর্নীতি, ভোট চুরি, অর্থ পাচার, লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খেলা হবে। বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন (শেখ হাসিনা) আসছেন ক্যাপ্টেন, ক্যাপ্টেন ওয়াশিংটন আছেন, বলছেন তৈরি হয়ে যাও। অক্টোবরে নাকি ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ফখরুল বলেন, মির্জা আব্বাস বলেন ভাগ্য নির্ধারণ করবে অক্টোবর মাসে। আমি তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে কত মশারি। তারা আমাদের ভাগ্য কী নির্ধারণ করবে। জবাব দেব সব দুঃশাসনের।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। কোনোভাবেই বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা যেতে দেওয়া যাবে না।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো ফল হবে না। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে নৈরাজ্য ছাড়া কিছু দিতে পারেনি। ক্ষমতার বাইরে থেকে বারবার লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের ওপর বিদেশিদের দিয়ে চাপ দিয়েছে, এখনো দিয়ে যাচ্ছে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি দেশে আবারও স্বৈরশাসন কায়েম করতে চায়। এদের সব ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করা।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আমাদের আলটিমেটাম দেয়, তারা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরাবে। বিএনপি যেখানেই সন্ত্রাস, নৈরাজ্য করবে সেখানেই প্রতিরোধ করব।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপি চোরের দল, খুনির দল। এ দলকে দেশের মানুষ চায় না। সে কারণে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। সে অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এদের রুখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর