বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমেরিকা যে ভিসা স্যাংশন দিয়েছে, সেটা ভোটচোরদের জন্য। কিন্তু সরকার বলছে স্যাংশন নাকি হয়েছে তাদের কথামতো! তারা চেয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, আর বিএনপি নাকি তাতে বাধা দিচ্ছে। তাহলে আপনারা (সরকার) স্যাংশনকে কেন এত ভয় পাচ্ছেন? ভিতরে এত কান্নাকাটি কেন? নজরুল ইসলাম খান গতকাল বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে ১২-দলীয় জোট আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। নজরুল বলেন, কেউ নিজের জন্য, কেউ ছেলের জন্য, বউয়ের জন্য আজ অস্থির হয়ে গেছে। কারণ যার ওপর ভিসানীতি আসবে তার পুরো পরিবারের ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। তাদের ওপর স্যাংশন জারি না হলে তারা এত ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ত না। গণসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সরকারের উদ্দেশে বলেন, মানে মানে বিদায় হোন। দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেন। নইলে দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। জাপার যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম এবং এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা)-এর সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল গনি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।