রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তেজগাঁওয়ের সেই অস্ত্রধারীরা লাপাত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি করা অস্ত্রধারীরা এখনো লাপাত্তা। তাদের ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) মৃত্যুর দিনে একজনকে গ্রেফতার করলেও তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাননি তদন্ত কর্মকর্তা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, ওই ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তাদের গ্রেফতারে সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিল পুলিশের একটি দল। এর মধ্যে দুজন সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যায়।

গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত মারুফ বিল্লাহ হিমেল নামে একজনকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পুরান ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এস এম আরিফ রাইয়ান এ প্রতিবেদককে বলেন, হিমেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় হিমেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি মামুনকে বারবার ফোন দিয়ে অবস্থান জেনে নিচ্ছিলেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় চারটি মোটরসাইকেলে করে সাত-আটজন এসে প্রাইভেট কার আরোহী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। মামুন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় তাকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরিফুল হক নামের এক পথচারী।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ভুবন চন্দ্র শীলের স্ত্রী রত্না রানী শীল গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। আর আহত ভুবন গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশের ধারণা, কারাগারে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ইমন কারাগারে থাকলেও সম্প্রতি মামুন ২৪ বছর পর জামিনে বের হন। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই দুজনের বিরোধ দেখা দেয়। এ হামলার পেছনে ইমনের হাত রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

সর্বশেষ খবর