সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পোলট্রি ফার্মে মুরগির খাবার চুরির প্রতিবাদ করায় রাউজানের কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়কে অপহরণ ও খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্তরা। লাশ যাতে শনাক্ত করতে না পারে এ জন্য হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করা হয়। গতকাল সকালে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র হৃদয় হত্যাকান্ড নিয়ে চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। এ সময় হত্যাকান্ডে অংশ নেওয়া যুবক উচিং থোয়াই মারমা ও তার সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীকে গ্রেফতারের কথা জানান র‌্যাব অধিনায়ক। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, অভিযুক্তরা মুরগিকে পর্যাপ্ত খাবার না দিয়ে বিক্রি করে দিত। এ নিয়ে ফার্মের ম্যানেজার হৃদয় তাদের ভর্ৎসনা করেন। এ কারণে খামারে শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা কাটাকাটি হয়। তখন হৃদয়কে শিক্ষা দিতে অপহরণের পরিকল্পনা করে তারা। অপহরণের এক দিন পর ২৯ আগস্ট বিকালে রঙিন পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। উচিং থোয়াই মারমা নিজেই ছুরি দিয়ে হৃদয়ের গলা কাটেন। তার সহযোগী ক্যাসাই অং চৌধুরীসহ আরও চারজন হৃদয়ের হাত-পা এবং মুখ চেপে ধরেন। হত্যার পর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাশ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে এ জন্য টুকরো টুকরো করা হয়। শনিবার হৃদয়কে হত্যায় সরাসরি অংশ নেওয়া দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে উচিং থোয়াই মারমাকে পতেঙ্গা থেকে এবং ক্যাসাই অং চৌধুরীকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব অধিনায়ক জানান, হৃদয়কে হত্যার পর মাংস খেয়ে ফেলেছে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। এনিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে, এ ব্যাপারে তারা জানে না। তবে শরীরের মাংস আলাদা করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এটি সত্য। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর রাউজানের গহিন অরণ্য থেকে হৃদয়ের খ বিখ  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ফেরার সময় গণপিটুনিতে নিহত হন অভিযুক্ত উমংচিং মারমা নামে এক যুবক। লাশ উদ্ধারের ১৪ দিন আগে অপহৃত হন হৃদয়।

সর্বশেষ খবর