শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি দুই প্রধান গন্তব্যে রপ্তানি কমেছে

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির প্রচলিত বাজার হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকা। একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জার্মানি থেকে। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর)-এর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এ দুই দেশেই বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, মূল্যস্ফীতির কারণে পশ্চিমা দেশগুলোয় চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রধান গন্তব্য দুটোতে রপ্তানি কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সম্প্রতি বলেন, আমাদের প্রধান দুটি বাজার হলো উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ। এ বাজার দুটিতে দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ যায়। এ বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে আমাদের শিল্পে। আমরা এ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২৯১ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় এ প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৩৬ মিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপের জার্মানিতে রপ্তানি কমার হার আরও বেশি। প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে প্রায় ৬ শতাংশ আয় কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে দেশটিতে মোট পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৫৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৯৮ মিলিয়ন ডলার কম। আগের অর্থবছরের একই সময়ে দেশটিতে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৩২ মিলিয়ন ডলার। প্রধান দুটি গন্তব্যেই রপ্তানি কমে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে রপ্তানিকারকদের মধ্যে। গত সপ্তাহে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এনিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে এসেছে। তিনি বলেন, ইউরোপে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য উন্নত দেশগুলো সংকোচনশীল মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে নীতি-নির্ধারণী ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমে গেছে। ক্রেতারা পোশাক কেনায় ব্যয় কমিয়ে খাদ্য ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। ফলে প্রধান বাজারগুলোয় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে।

 

সর্বশেষ খবর