শিরোনাম
বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে চা-চাষ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে চা-চাষ

চা-চাষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে পঞ্চগড়ের সাফল্যের পর পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়েও অসংখ্য চায়ের বাগান গড়ে উঠছে। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে চায়ের আবাদ। সীমান্ত ঘেঁষে গড়ে ওঠা দিগন্তবিস্তৃত এসব বাগান চা-শিল্পের অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।

সরেজমিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সমতলভূমিতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য চা-বাগান। এমনকি বসতবাড়ির পেছনের জমিতে, বাড়ির আঙিনার আশপাশে, রাস্তার ধারে আনাচে-কানাচে এখন চা-গাছের সবুজ রঙের সমারোহে ভরপুর।

চা-চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা চা-চাষে লাভবান হওয়ায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চায়ের চাষ। ঠাকুরগাঁওয়ে চা এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে। আর এসব চা-বাগানে কাজ করে স্থানীয় অনেক বেকার মানুষেরও কর্মসংস্থান হয়েছে। তাই চা-শিল্পেই আগামী দিনের সফলতার স্বপ্ন দেখছেন জেলার চাষিরা। ঠাকুরগাঁওয়ে এখন পতিত জমি নেই। একসময় যে জমিতে আগাছা ছাড়া কোনো ফসল হতো না সেই জমিতে এখন চা-গাছের সমারোহ। নদীর ধারে যেসব জমি শুধু গোচারণভূমি হিসেবে পড়ে থাকত, সেই দিগন্তবিস্তৃত জমিতেও গড়ে উঠেছে চা-বাগান। যে যেখানে সুযোগ পেয়েছে, সেখানেই চায়ের গাছ লাগিয়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৯ সালে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে চা চাষের সম্ভাবনা নিয়ে এক জরিপ চালায়। পরের বছর থেকেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় প্রথম চা চাষ শুরু হয় ২০০৭ সালে। এখন জেলার প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে চা চাষ হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলামের তথ্য মতে, জেলায় মোট ১৪৫৭ একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫৬ একর ৯৩ পয়েন্ট জমিতে ছোট-বড় মিলে ৯৩টি চা বাগান রয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৬ একর জমিতে ১টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১১০০ একর ৭৫ পয়েন্ট জমিতে ছোট বড় মোট ১০০টি, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৯ একর জমিতে চারটি ও হরিপুর উপজেলায় ১০ একর জমিতে তিনটি চা-বাগান রয়েছে। সব থেকে বেশি চা-চাষ করা হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। এ উপজেলায় ১১শ ৭৫ পয়েন্ট জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রনবাগ ও বেউরঝাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে অবস্থিত অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। জেলার এই সীমান্তবর্তী দিগন্তবিস্তৃত এলাকাজুড়ে এখন চা-বাগান।

সর্বশেষ খবর