বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের আইএমএফ দল ঢাকায়, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় পর্যালোচনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফের আইএমএফ দল ঢাকায়, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় পর্যালোচনা হবে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর সঙ্গে বৈঠকের জন্য অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত দিয়ে ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করেছিল আইএমএফ। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে সেগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শর্তাবলি পর্যালোচনার জন্য আগামীকাল তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের। ৪ থেকে ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা প্রতিনিধি দলটি এনবিআরের রাজস্ব-সংক্রান্ত বিষয়ে উন্নতির দিকে নজর দেবে। কর-ব্যয় বিশ্লেষণের ওপর দৃষ্টি রেখে কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আইএমএফের আরেকটি প্রতিনিধি দলের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে ২৩ নভেম্বর।

সূত্রমতে, প্রতিনিধি দলটি ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট শাখাগুলোর কর্মক্ষমতা, আয়কর শাখার পুনর্গঠন এবং প্রত্যক্ষ করের জন্য কমপ্লায়েন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের অবস্থাও মূল্যায়ন করবে। যদিও করনীতি ও বাস্তবায়ন শাখাগুলোকে পৃথক করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এনবিআরকে সুপারিশ করে আসছে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুপক্ষীয় ঋণদানকারী সংস্থা আইএমএফ। এ ছাড়া প্রতিনিধি দল আয়করের কমপ্লায়েন্স ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করবে। প্রতিনিধি দল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ (পয়েন্ট) বাড়ানোর জন্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সম্পর্কিত পদক্ষেপের ওপরও নজর দেবে। আইএমএফের শর্তানুযায়ী, এনবিআরের তিনটি শাখার ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটে উন্নতি দেখানোর কথা। ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস স্থাপন, ভ্যাট প্রশাসনের সংস্কার এবং আইটি শাখার অগ্রগতিও আইএমএফ প্রতিনিধি দল মূল্যায়ন করবে। আইএমএফ-এনবিআর সভার জন্য প্রস্তুত করা একটি নথির শর্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আদায়ের অগ্রগতি এবং অন্যান্য উদ্যোগের তথ্য সংকলন করেছে মূল্য সংযোজন কর শাখা। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে করদাতার ই-ইনভয়েস চালু এবং একটি সমন্বিত ভ্যাট প্রশাসন ব্যবস্থার মডিউল কার্যকরের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি জানাবে এনবিআর। এ ছাড়া ভ্যাটশূন্যতা বিশ্লেষণ, ভ্যাট অডিট কৌশল (ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ), আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ, রিটার্ন বিশ্লেষণ, কর ফাঁকি শনাক্তকরণের জন্য ডিজিটাল ফরেনসিক বিশ্লেষণ, হোল্ডিং ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা এবং প্রকল্প ও সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি জানাবে। চলতি অর্থবছরে এনবিআরের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

সর্বশেষ খবর