বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আমীর খসরু

অবিলম্বে এ সরকারকে বিদায় নিতেই হবে

ফরিদপুর প্রতিনিধি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি জানিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। নইলে এই অবৈধ সরকারকে উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় করা হবে। তিনি বলেন, এ   সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে। এই সরকারের নেতারা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে পাহাড়সম সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তাদের কারণেই আজ দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। অবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমীর খসরু মাহমুদ এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ রোডমার্চ। রোডমার্চ শুরুর আগে গোয়ালন্দ মোড়ে সমাবেশ করে দলটি। এরপর রাজবাড়ীর বসন্তপুর বাজারে পথসভা হয়। ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এই সরকারের সময় আর বেশি নেই। দ্রুতই এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে সেলিমা রহমান বলেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা করে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। এখন খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। এই সরকারের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে। তাদের সেই পরিকল্পনা আর দেশের মানুষ মেনে নেবে না। অচিরেই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল আওয়াল মিন্টু বলেন, এই সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশছোঁয়া। মানুষ এখন বিপদের মধ্যে রয়েছে। যত দ্রুত এ সরকার বিদায় নেবে ততই দেশের মঙ্গল। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারকে আর এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশের মানুষের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। দেশকে তারা আজ ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাংলার মানুষ ঘরে ফিরে যাবে না। বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেন, এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। এই সরকার হলো ভোট চোরের সরকার, এই সরকার হলো লুটেরাদের সরকার। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন এ দেশে হবে না। পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি শাহ মো. আবু জাফর, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাহাবুবুল হাসান পিংকু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুর রহমান মাসুক, মো. সেলিমুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ। বেলা ১২টায় কয়েক হাজার গাড়ির বহর নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রোডমার্চ শুরু করে। পরে রাজবাড়ীর বসন্তপুর বাজারে পথসভা হয়। রোডমার্চকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী গাড়ির বহর নিয়ে অংশ নেয়। বেলা দেড়টায় ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। প্রচ- বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী পথসভায় যোগ দেন। ফরিদপুর থেকে রোডমার্চটি নগরকান্দার তালমা বাজার, গোপালগঞ্জের বরইতলা, মাদারীপুরের মোস্তফাপুরে পথসভা করে শরীয়তপুর স্টেডিয়ামে জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে ফরিদপুর বিভাগীয় এ কর্মসূচিটি। ১৩০ কিলোমিটারব্যাপী এ রোডমার্চে প্রায় তিন হাজার গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর