বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রশাসন পুলিশ ভোট কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বড় চ্যালেঞ্জ ইসির

কর্মশালা - কাউকে ভোটে আনা ইসির দায়িত্ব নয়, এক শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা ভোট ভালো না হলে সব দায় নির্বাচন কমিশনের কাঁধে পড়ে। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘অবাধ ভোটাধিকার : প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক ইসির কর্মশালায় আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক ইসির কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এসব কথা বলেন। 

আলোচকরা বলেছেন, সব দলকে নির্বাচনে আনা রাজনৈতিক বিষয়, এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। ইসি সুন্দরভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সবার মাঝে সেই আস্থার সৃষ্টি করতে হবে। সুন্দর নির্বাচনের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তারা। বক্তারা বলেন, বড় দুই দলের ভোট কাছাকাছি। একদল যখনই নির্বাচনে আসে না, তখন ইসি আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায় না। নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়, শতভাগ স্বচ্ছ হয় না, ব্যালট ছিনতাই হয়-এসব ব্যাপারে ইসিকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি-ভোট ‘ইফেকটিভিলি কনটেস্টেড’ হলে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়ে যায়, আমাদের দায়িত্ব অনেকখানি কমে আসে। সে জন্য আমরা ইনক্লসিভ নির্বাচন লাইক করি, আমাদের দায়িত্ব নয় কাউকে নিয়ে আসা। তবুও আমরা নৈতিক অবস্থান থেকে অনেকবার দাওয়াত দিয়েছি; আসুন আমাদের সঙ্গে চা খান, ডিও লেটার পর্যন্ত দিয়েছি। এর চেয়ে আর কিছু বেশি আমরা করতে পারছি না। গতকাল কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশে যদি ১ শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে তবু ওই নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে ওই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে, কিন্তু আইনগতভাবে ঠিক কি না- সে প্রশ্ন আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আমরা লেজিটিমেসি (বৈধতা) নিয়ে মাথা ঘামাব না। আমরা দেখব ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। ১ শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসেছিলেন, তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনটা আমরা সৎভাবে, আন্তরিকভাবে করতে চাই। কোনো দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য আমরা এ দায়িত্বটা গ্রহণ করিনি। আমরা নির্বাচনের লিগ্যালিটিটা দেখব। নির্বাচন লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ফাইট করবে না। নির্বাচনে লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফাইট করবে। রাজনৈতিক সমঝোতায় বরাবরের মতো এবারও জোর দেন তিনি। সিইসি বলেন, সবাই বলে থাকেন সংলাপের মাধ্যমে একটা সমঝোতা প্রয়োজনীয়তার কথা। আমরাও বলেছি সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা করে যদি একটি অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠত তাহলে আমাদের জন্য কাজটা সহজসাধ্য হতো। পোলিং এজেন্টকে ভোটের আগের দিন গ্রেফতারের অভিযোগের বিষয়ে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোটের আগে পোলিং এজেন্ট গ্রেফতার- তা কখনো হোক চাই না। আমরা সরকারকেও বলব, আমরা জানাব (লিস্টেড পোলিং এজেন্ট) অ্যারেস্ট করতে হলে ছয় মাস আগে করেন বা ভোটের পরে করেন। অ্যারেস্ট করতে হলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত হবে না, আমরাও কলঙ্কিত হব সেক্ষেত্রে- আমি আন্তরিকভাবে মনে করি। পোলিং এজেন্ট না থাকলে নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পারসেপশন নেগেটিভ হবে। এজেন্টকে বের করে দেওয়ার ‘সংস্কৃতি’ ও যে পারসেপশন রয়েছে তার সমালোচনা করার পাশাপাশি এজেন্ট বের করে দিলে সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানো প্রসঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করে সিইসি বলেন, আমরা মানি বা না মানি, দেখা গেছে বিদেশের কিছু লোক এখানে এসে কথা বলেন। অথচ আমরা আমেরিকায় গিয়ে কিন্তু কথা বলতে পারছি না। এটার একটা কারণ হতে পারে আমেরিকা হয়তো শক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এটা হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। আমি সেটা জানি না। ওরা আসে আমাদের দেশে কথা বলতে। এ যে কথা বলছে ওরা কি নিজেরা এসেছে, নাকি আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি অবস্থাটা। এভাবে আমেরিকা, বিলেত এসে কথা বলছে- এ জন্য আমি খুব গর্ববোধ করি না। সুশীল সমাজও বিভক্ত থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সিভিল সোসাইটিও পলিটিক্যালি সার্ফলি ডিভাইডেড। এটা দুঃখজনক। এমন কোনো দু-চারটি সিভিল সোসাইটি গড়ে তুলতে পারেনি যারা সর্বজন শ্রদ্ধেয়, নির্মোহ থেকে, পক্ষপাতিত্বহীনভাবে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে। হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম দেখবে প্রত্যাশিত সিভিল সোসাইটি হয়েছে।

নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা ইসির বড় চ্যালেঞ্জ : সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ও কবিতা খানম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ, ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, ইসির সাবেক যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ও খোন্দকার মিজানুর রহমান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস ও ড. এস এম শামীম রেজা, আমাদের সময়ের ইমেরিটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খান, গ্লোবাল টিভির সম্পাদক ইশতিয়াক রেজা ও একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, দেশে এখন প্রধান দুই দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে। ইসির পক্ষে তাদের একত্রিত করা বা কাছে আনার খুব একটা পদ্ধতি আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, ইসির প্রথম কাজ হচ্ছে-নিবন্ধিত দলগুলো যেন নির্বাচনে আসে। বিভিন্ন কারণে কেউ নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে, কেউ আসতে চাচ্ছে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সরাসরি কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন সুন্দর ভোটের ক্ষেত্র তৈরি করে দেবে, ভোটাররা নিশ্চিন্তে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে- এই পরিবেশ তৈরির জন্য ইসির নেতৃত্বে দেশের যত সংস্থা আছে তারা কাজ করে যাবে। সেই সঙ্গে সরকার ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা করবে- এটাই ইসির চাহিদা হওয়া দরকার।

এই সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়, শতভাগ স্বচ্ছ হয় না, ব্যালট ছিনতাই হয়- এসব ব্যাপারে ইসি পদক্ষেপ নেবে আশা করি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সব দল যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং তাদের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্টরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে নির্বাচনের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একটা সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। এজেন্টরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচন অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবার আশঙ্কা আছে। সাধারণত যত দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক না কেন, প্রধান বিরোধী দল অংশ না নিলে তা অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না বলে আমরা মনে করি। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার পরিবেশ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকে সংলাপসহ বিভিন্ন আলাপ আলোচনা করে আসছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল সেভাবে সহযোগিতা না করার কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কি না- সেই আলোচনা হচ্ছে। সব দলকে নির্বাচনে আনা রাজনৈতিক বিষয়, এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে কবিতা খানম বলেন, সব সময় নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। কারণ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজন করে। নির্বাচনী কর্মকান্ড কোনো কারণে ব্যাহত হলে সেটার জবাবদিহিতা নির্বাচন কমিশনের কাছে করতে হয়। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার কমিটমেন্ট থাকতে হবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে, সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে। অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশীদ বলেন, নির্বাচন এলেই কেবল ইসিকেই দায়ী করা হয়। কিন্তু ইসি তো একটা অংশ। অন্যরা সহায়তা না করলে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা ইসির পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সবার প্রচেষ্টা না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এবারের নির্বাচনের দিকে দেশি-বিদেশি মহলের দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার আমাদের একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। এটা পুরো জাতির শপথ হওয়া উচিত। বিশেষ করে সরকারি দল প্রধানের কাছে ইসির কামনা করতে হবে যেন প্রার্থীদের মেইনটেন করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত।

 

ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, নির্বাচনে কমন অভিযোগ হচ্ছে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এজেন্টকে তুলে নেওয়া হয়েছে, বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। এসব অভিযোগে কেন করা হয়েছে। তা খতিয়ে দেখলে এই সমস্যা থাকবে না। তিনি বলেন, জানুুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের ওই পরিবেশটা এখনো পাই না। আমরা স্বীকার করি বা না করি বড় দুই দলের ভোট কাছাকাছি। একদল যখনই নির্বাচনে আসে না, তখন ইসি আপ্রাণ চেষ্টা করলেও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা বা মোটামুটি মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করা যায় না। এক্ষেত্রে নির্বাচনী পরিবেশ বলতে যা বোঝায় সেটা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

২০১৪ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ওই কঠিন সময়ে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল ইসি। ওই সময়ে থাইল্যান্ডেও নির্বাচন হয়। সেখানে বিশৃঙ্খলার কারণে সব কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছাতে পারেনি সেদেশের কমিশন। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ওই রকম পরিস্থিতিতে ভোট আয়োজনের কোনো কাজ বাদ রাখেনি, সব কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পাঠিয়েছে। তারপরও নির্বাচনের ব্যর্থতার দায়ভার ইসিকে নিতে হয়েছে। কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে, নির্বাচনের পরিবেশ সঠিক না থাকলে- সব দায়ভার ইসির কাঁধে এসে পড়ছে। জেসমিন টুলী বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে যদি এই নির্বাচন হয়, তাহলে কমিশনের প্রথম কাজ হবে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ সবাই নিরপেক্ষ ভূমিকায় যেন তারা কাজ করেন। তাদের এই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারলে, কমিশন যে নির্দেশনা দেবে তা তারা পালন করতে বাধ্য থাকবে। এই নিরপেক্ষ ভূমিকা কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা কী দেখলাম, রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এসেছে কিন্তু শোনা গেছে, তাদের এজেন্টদের হয় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে নয় কেন্দ্র থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কারা নিয়েছে, কে নিয়েছে? আমরা চাই না দেশে আবার খারাপ একটি নির্বাচন হোক। দেশের স্বার্থে ভালো নির্বাচন করতে হবে। বিকল্প কোনো রাস্তা আমাদের সামনে খোলা নেই। অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, এখন তিন রকম মডেল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একটা মডেল হচ্ছে- একতরফা নির্বাচনের দিকে বর্তমান সরকার এগোচ্ছে যেখানে বিএনপি আসলে আসবে না আসলে না আসবে। কতগুলো কিংস পার্টি করে ছোট ছোট দল গঠন করে একটু ভোট বাড়িয়ে তুলনামূলক অংশগ্রহণ নির্বাচন করা। এটা হচ্ছে একটা মডেল। দ্বিতীয় মডেল হচ্ছে, ১৯৯৬ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করা। যে নির্বাচনের পর সরকার বেশি দিন টিকবে না। তৃতীয় মডেল হচ্ছে- বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত এখনো সর্বশক্তি ব্যয় করেনি, তারা হয়তো নির্বাচনের আগে সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। এ সরকারকে পতন ঘটাবে এবং ওয়ান-ইলেভেনের মতো একটা সিভিল মিলিটারি গভর্মেন্ট আসবে। তখন নির্বাচন হবে দুই বছর পর, তখন পোলিং এজেন্টের ভূমিকা আরেক রকম হবে। তাই আমার কাছে মনে হয়, পোলিং এজেন্ট নিয়ে আলোচনার সময় এখনো আসেনি।

সর্বশেষ খবর