শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোচনায় আইএমএফের ঋণ দ্বিতীয় কিস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের সময়ই কথা ছিল শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে যেকোনো সময় কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে দেবে আইএমএফ।

ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তি ছাড়ের পর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় পেতে সংস্থাটি বাংলাদেশকে যেসব শর্ত দিয়েছিল তার মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শর্তই পূরণ করতে পারেনি সরকার। ফলে দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ নির্ধারিত সময়ে না পেলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট আরও জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমনিতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শর্ত পারিপালনে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় কিস্তির ছাড়ের বিষয়ে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। ৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা সফর করছে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। দলটি ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, অর্থবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে প্রতিনিধি দলটি। গতকাল তারা এনবিআরের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। সেখানে রাজস্ব আদায়ের কৌশল, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, যে দুটি শর্ত পালনে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ সেগুলো হলো- সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ অন্তত ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের নেট রিজার্ভ থাকা এবং অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায় অন্তত ৬১ হাজার কোটি টাকা হতে হবে। এ দুটি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বীকার করেছে, এসব বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ ছাড় দেওয়ার আগে পর্যালোচনা করতে ঢাকায় এসেছে আইএমএফের একটি মিশন এবং বুধবার তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল তারা এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আইএমএফের এ দলটি দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে থেকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৯ অক্টোবর সমাপনী সভায় অংশ নিয়ে ফিরে যাবে। এরপর তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সংস্থাটি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল সংস্থাটি এবং ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার ফেব্রুয়ারিতে ছাড় করে আইএমএফ।

সর্বশেষ খবর