শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় গঙ্গা-যমুনা উৎসব

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় গঙ্গা-যমুনা উৎসব

বাংলাদেশ ও ভারতের ১৪৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় ৪ হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হলো ১২ দিনের ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩’। গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত এবারের উৎসবটি নিয়মিত আয়োজনের ১২তম আসর। বরাবরের মতো এবারের আয়োজনেও থাকছে নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্যনাট্য ও পথনাটক। গতকাল বৃষ্টিভেজা ছুটির দিনের সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধন শেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। এরপর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নাচের দল স্পন্দন। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নাট্যজন মামুনুর রশীদ ও একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘মেরাজ ফকিরের মা’। একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় বাতিঘর প্রযোজিত নাটক ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’, আর স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় কিশোরগঞ্জের একতা নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘১৯৭১’।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ আয়োজিত এ উৎসবের নাটকগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যায় একযোগে মঞ্চায়ন হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তন এবং বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে। সন্ধ্যা ৭টায় নাটক মঞ্চায়নের আগে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা। ১৭ অক্টোবর শেষ হবে ১২ দিনের এ উৎসব। ছায়ানটের শরৎবরণ : গতকাল সন্ধ্যায় শরৎ বরণ করেছে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। একক গান, দলীয় গান ও নৃত্য দিয়ে সাজানো ছিল মনোজ্ঞ এ আসর। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পীরা দলীয়ভাবে পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের গান ‘পোহালো পোহালো বিভাবরী’। এরপর একক গানের ডালি নিয়ে মঞ্চে আসেন সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা, ইফ্?ফাত বিনতে নাজির, অনিন্দ্য রহমান, সঞ্চারি অধিকারী, সংহতী ঘোষ রমা, অভিজিত দাস, মহাশ্বেতা চৌধুরী, রেজাউল করিম, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চারটি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ছায়ানটের নৃত্যশিল্পীরা। রবীন্দ্রনাথের ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ লেখা থেকে পাঠ করেন সায়্ন সৌভিক।

সর্বশেষ খবর