বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি আসাদ চৌধুরী (৮০) কানাডার মিডোস সিমেট্রিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। এর আগে গতকাল কানাডার ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরন্টোতে নামাজে জানাজা হয়। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কানাডার স্থানীয় সময় গতকাল বাদ জুমা টরন্টোর নাগেট মসজিদে আসাদ চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর লাশ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মসজিদের অভ্যন্তরে আধা ঘণ্টা রাখা হয়। তারপর তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। দাফনকার্যে পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দুই ছেলে ও মেয়ের জামাতাসহ সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির সদস্যরা। কবির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এ সময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন কবি পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, কানাডার টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আসাদ চৌধুরী। গত বছরের নভেম্বর থেকে তিনি ব্লাড ক্যান্সার, কিডনি জটিলতা, শ্বাসকষ্টসহ নানা বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়ার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসাদ চৌধুরী। তাঁর পিতার নাম আরিফ চৌধুরী ও মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। আসাদ চৌধুরী ছিলেন একাধারে কবি, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, আবৃত্তিকার ও উপস্থাপক। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আসাদ চৌধুরী অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পুরস্কারগুলো হলো- আবুল হাসান স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৫), অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৭), শম্ভুগঞ্জ এনায়েতপুরী স্বর্ণপদক (১৯৯৯), ত্রিভুজ সাহিত্য পুরস্কার, বরিশাল বিভাগীয় স্বর্ণপদক, অশ্বিনী কুমার পদক (২০০১), জীবনানন্দ দাশ পদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (২০০৬), বঙ্গবন্ধু সম্মাননা ১৪১৮, শব্দভূমি আজীবন সাহিত্য সম্মাননা (২০১৮)।