শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চবিতে ফের ছাত্রলীগের সংঘর্ষ আহত ২৫

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খাবার হোটেলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গতকাল শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক দুটি সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘সিক্সটি নাইন’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিকাল সোয়া ৩টায় শুরু হয়ে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘণ্টাখানেক চলে। এতে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় তাদের অনেকের হাতে দেশি অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও সংঘর্ষে জড়ানো ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের এ দুটি পক্ষের অস্ত্রের মহড়ায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রেজাউল হক রুবেল গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এখন ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। খাবারের টেবিলে বসা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের কাছে এখন একটি বিষয় পরিষ্কার, অনেকে এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ক্যাম্পাসে ঝামেলাগুলো লাগিয়ে রেখেছে।

ভুক্তভোগী হতে হয়েছে ছাত্রলীগকে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি শান্ত করে দিয়েছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা দেশি অস্ত্রহাতে এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা যায়, গতকাল ক্যাম্পাসের একটি খাবার হোটেলে খাওয়া শেষে টেবিল থেকে বের হওয়ার সময় সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মী মোহাম্মদ আজমীরের হাতে ধাক্কা লেগে টেবিলের ওপর থাকা ডালের বাটি পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিজয় পক্ষের কর্মী মো. মাহীর চৌধুরীর সঙ্গে আজমীরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে এবং বিজয় পক্ষের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে অবস্থান নেন। উভয় গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হল থেকে লাঠিসোঁটা, রামদা, রড ও ইটপাটকেল নিয়ে বের হন। আর বিজয়ের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে একই ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে বের হন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২০-২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তিনি বলেন, ‘আমরা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।’ সংঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের সামনে প্রতিপক্ষের উসকানিতে ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।’ বিজয় পক্ষের নেতা শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘আমি চেয়েছি ঝামেলাটা না বাড়ানোর জন্য। কিন্তু বিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঝামেলা করতে আসে। পরে আমাদের হলের সবাই প্রতিহত করে।’

সর্বশেষ খবর