দেশের খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা হলে অবহেলা না করে টেস্ট করতে হবে। রোগীরা হাসপাতালে দেরিতে আসছেন। যারা আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত কিংবা অন্তঃসত্ত্বা তাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তরল খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত বমি, পেটে ব্যথা হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। এখন শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি রোগী। সেখানে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা ডেঙ্গুজ্বরে সেবা দিচ্ছেন। জ্বর আসলে তাদের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গুতে নারীদের বেশি মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক বলেন, বিশেষ করে নারীরা দেরিতে ট্রিটমেন্ট নেন। নারীরা পরিবারের অন্য সদস্যদের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের কথা ভুলে যান। কালক্ষেপণ করে হাসপাতালে আসেন। নারীরা বেশি ঘরে থাকছেন। তারা রোদে কম যান। ফলে নারীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম। এসব কারণে তাদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। প্রয়োজনে ডেঙ্গু চিকিৎসা গাইডলাইন সংশোধন করে আরও আধুনিকীকরণের মত দেন এই বিশেষজ্ঞ।