সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উৎসবমুখর রাজধানী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

উৎসবমুখর রাজধানী

সুরের মূর্ছনা, কবিতার দীপ্ত উচ্চারণ ও নাটকের শৈল্পিকতায় উৎসবমুখর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি ও নাটক সরণিখ্যাত বেইলি রোড। সেই সঙ্গে ক্যানভাসে রংতুলির ছোঁয়ায় খুদে শিল্পীদের চিত্রাঙ্কন বর্ণিল উৎসবে রঙের ছটা দিয়েছে নিপুণভাবে। সংস্কৃতিকর্মী ও সংস্কৃতি অনুরাগীদের সরব উপস্থিতি ও পদচারণে মুখরিত শিল্পের আঙিনা। এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৪৫টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় ৪ হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণে চলমান ১২ দিনের ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে। গতকাল ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিন মিলনায়তনে তিনটি ও বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে একটিসহ একযোগে মোট চারটি নাটক মঞ্চায়ন হয়। এর মধ্যে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের নাটক ‘অচলায়তনের অপ্সরী’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় ঢাকা পদাতিকের নাটক ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’, স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় মৈত্রী থিয়েটারের নাটক ‘মেহেরজান’, এবং মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এথিক থিয়েটারের নাটক ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’। ‘অচলায়তনের অপ্সরী’র রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন পুলিশ সদর দফতরের পরিদর্শক জাহিদ রহমান। বিভিন্ন   চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের সদস্যরা। মাসুম আজিজ রচিত ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’-এর নির্দেশনায় ছিলেন নাদের চৌধুরী। অভিনয় করেছেন ঢাকা পদাতিকের নিয়মিত শিল্পীরা। মান্নান হীরা রচিত ও  সূচনা তিসা নির্দেশিত ‘মেহেরজান’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৈত্রী থিয়েটারের শিল্পীরা। অন্যদিকে নাটক সরণিখ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’। নাটকটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। নির্দেশনায় ছিলেন রেজানুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম, তাঁর জীবনের নানা অধ্যায়, স্বাধীনতা আন্দোলন ও ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডিসহ নানা বিষয় নাটকটিতে তুলে ধরেছেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। বিশেষ করে ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি নাটকটিতে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এথিক থিয়েটারের নিয়মিত সদস্যরা।

একই সময়ে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে উৎসবের নিয়মিত আয়োজনের অংশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় শিশু সংগঠন চিত্রণ, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে আবৃত্তি অঙ্গন, দলীয় সংগীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও পদ্মশ্রী সংগীত নিকেতন, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে চারুবৃক্ষ ও স্বরাঙ্গন বাচিক চর্চা কেন্দ্র, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে পুষ্পাঞ্জলী নৃত্যকলা কেন্দ্র, পথনাটক পরিবেশন করে নাট্যযোদ্ধা। আগামী ১৭ অক্টোবর শেষ হবে ১২ দিনের এই উৎসব।

সর্বশেষ খবর