আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা আমাদের সংবিধান ছাড়া কারও সিদ্ধান্ত মেনে নেব না। শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আর তখন নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার জন্য মায়াকান্না করে বিদেশিদের কাছে করুণা ভিক্ষা করছে। গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির মুখে আজ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা, যা শুনে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই হত্যা-ষড়যন্ত্র ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির অন্তরালে বিএনপি পুনরায় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। জনগণের রায় ছাড়া আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের নির্বাচন, গণতন্ত্র ও রাজনীতির গতিপথ কোনো বিদেশি শক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হবে না; একইভাবে দেশবিরোধী কোনো অপশক্তির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির হুমকির মুখে বিচ্যুতি হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই জনগণের সঙ্গে তামাশা করে আসছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সংবিধান ও নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক দল। দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে মার্শাল ল জারির মাধ্যমে জিয়াউর রহমান প্রথমবারের মতো কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র প্রবর্তন করে।’