সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সেমিনারে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিশিষ্টজনরা

দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন নিয়ে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসানে নির্বাচনী ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চেয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। সংলাপ-সমঝোতা-সমাধানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা বলেছেন তারা। গতকাল গুলশানের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ঢাকায় নরওয়ে দূতাবাস ও ঢাকা ট্রিবিউনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন।

‘পলিটিক্স ইজ ব্রোকেন : হাউ ডু উই ফিক্স ইট’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ট্রিবিউনের এডিটর ইন চিফ জাফর সোবহান। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। শারমিন মুরশিদ বলেন, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় দলই বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়ে আছে। দেশের স্বার্থে আমাদের একটি উইন উইন সিচুয়েশনে আসতে হবে। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আছি। আগামী এক মাসের মধ্যে শ্রীলঙ্কা না হলেও শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি পরিস্থিতি তৈরি হবে দেশে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে ক্ষমতাসীনদেরই এগিয়ে আসতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে একটি জাতীয় ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন মানে জনগণের সামনে বিকল্প ছুড়ে দেওয়া, প্রতিযোগিতা হওয়া। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এগুলোর অভাবে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসছেন না। রাজনীতি যেন রক্তের হোলি খেলায় পরিণত না হয় সে জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিঃশর্ত সংলাপে বসতে হবে। সংলাপ-সমঝোতা-সমাধানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বেরিয়ে আসবে। মনীষা চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেশে অনেক বেশি উন্নয়ন আর অনেক কম গণতন্ত্রের ধারা চলছে। যার কারণে এখন হতবুদ্ধিকর এক পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তৈরি করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণমূলক সংসদ নিশ্চিত করতে হবে। তাবিথ আউয়াল বলেন, প্রথমেই আমাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমরা একটি সংকটের মধ্যে আছি। আমাদেরকে একে অপরের কথা শুনতে হবে। জনগণকে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিতে হবে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিরোধীরা তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা হিতে বিপরীত হতে আমরা দেখেছি। সংলাপে যাওয়ার জন্য বিরোধী দলের ইতিবাচক মনোভাবও আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এই সংকট উত্তরণে আমাদেরকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজতে হবে।

সর্বশেষ খবর