বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই বড় দলেই মনোনয়ন প্রত্যাশীর হিড়িক

নওগাঁ প্রতিনিধি

দুই বড় দলেই মনোনয়ন  প্রত্যাশীর হিড়িক

সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর এ তিনটি উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-১ আসন। অতীতে আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে পাল্টে গেছে এই আসনের ভোটের হিসাব-নিকাশ।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি বেড়েছে। তৈরি হয়েছে নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচন ও সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। নির্বাচনী মাঠ দখল এবং মনোনয়ন নিশ্চিত করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ব্যাপক দৌড়ঝাঁপও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও দলীয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।

২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের হাতে এই আসনটি।। তিনি এলাকার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পরপর দুবার তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের কাছে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। তবে এবার তার সঙ্গে আরও দুজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। এদের একজন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এবং চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান তোতা। অন্যজন নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এনামুল হকের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রেজাউল হাসান রানা। জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিন উপজেলায় সুপেয় পানির সুব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বনায়ন ও শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়; এরই মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ, সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিএনপির সময় এসব কিছুই হয়নি। এ কারণে তার সমান্তরাল দ্বিতীয় কোনো আওয়ামী লীগ নেতা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার মতো অবস্থানে নেই।

এ আসনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির দলীয় কোন্দল বেশ প্রকট। তৃণমূলের কর্মীরা বুঝে উঠতে পারছে না কোন নেতার খুঁটি কত মজবুত। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচিত বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন ডা. ছালেক চৌধুরী। এই তিন উপজেলায় বিএনপির দলীয় কোন্দলের কারণে তার একক নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি। ফলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। তাই বিএনপি থেকে মাঠে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী, পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আহম্মেদ মোজাম্মেল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর আলী কালু দলীয় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে পোরশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহ আহম্মেদ মোজাম্মেল চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি সব সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছি। দলের দুঃসময়ে ছিলাম, এখনো আছি, আর ভবিষ্যতেও থাকব। সে জন্য তিন উপজেলার নেতা-কর্মীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছি। আমার বিশ্বাস দল নির্বাচনে গেলে আমি এ আসনে মনোনয়ন পাব।

সর্বশেষ খবর