বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আগাম শীতকালীন সবজিতে ব্যস্ত কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আগাম শীতকালীন সবজিতে ব্যস্ত কৃষক

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর সদর, ফুলবাড়ী, বীরগঞ্জ, বিরামপুর, খানসামাসহ বিভিন্ন উপজেলার কৃষক। দিনাজপুরে গ্রীষ্মেও চাষ হয় শীতকালীন সবজি। বাজারে ভালো দামের আশায় তাদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। কাকডাকা ভোর থেকে কোদাল, নিড়ানি, বালতি, ¯েপ্র মেশিন ইত্যাদি নিয়ে জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, খেতে পানি ও খেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে রাজধানাী ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠান কৃষকরা। আর এতে কৃষকরাও লাভবান হন। অনেক স্থানে সবুজে সবুজে ভরে উঠছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে আলু, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, করলা, পটোল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির চারা। এসব সবজি শীত নামার আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক। তবে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে কিছু সবজির চাষ ব্যাহত হয় এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। অনেকের চারাও নষ্ট হয়, তারা আবার চারা রোপণ করেছেন। বিরামপুরের মাহমুদপুর, হাবিবপুর, দয়েরপাড়, হরিদাশপুর, ভেলারপাড়, চকদুর্গা, মুকুন্দপুর, জগদীশপুর, পটুয়াকোল, কাটলা, পলিখাঁপুর, পলিপ্রয়াগপুর এলাকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষ করছেন। মুকুন্দপুর ইউনিয়নের পটুয়াকোল গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, প্রত্যেক শীতে তিনবার শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়। চারা থেকে বাজারে তোলার উপযোগী ফুলকপি চাষ করতে দুই মাস সময় লাগে। ইতোমধ্যে ১০ শতক জমির ফুলকপি ৩ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রিও করা হয়। আবারও ২০ শতক জমির ফুলকপি বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শীতকালীন সবজি যার যত বেশি আগে আসবে সে তত লাভবান হবে। ফুলবাড়ীর কৃষক আবদুর কারিম বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও কম। স্বল্প সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। সেই সঙ্গে পরিবারের চাহিদা মেটানোও সম্ভব হয়। বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, অনেক কৃষক বেশি লাভের আশায় আগাম সবজি চাষ করেন। এখন এ উপজেলায় যে সবজি চাষ হচ্ছে তা রবি মৌসুম শুরুর আগেই করে থাকেন কৃষকরা। এ সবজি চাষে ফলনও ভালো হয়। সাধারণত কার্তিক মাসে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু হয়। এ বছর ১১৬ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এবং এর বিপরীতে ফলন ধরা হয়েছে ১০০ হাজার মেট্রিক টন। প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর